প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে প্রস্তুতি সভায় রানাঘাট পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় না আসায় দলেই জল্পনা শুরু হয়েছে।
হাতে আর মোটে দু’দিন। সোমবার রানাঘাট শহর থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে হবিবপুরে জনসভা করতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সফল করে ঐক্যের বার্তা দিতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। কেননা ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। পরে তার দু’একটি আবার ছিঁড়ে ফেলা হয়। শহরের কয়েক জন ‘দাদার অনুগামী’ বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন বলেও কানাঘুষো রয়েছে। যাঁদের নাম বাতাসে ভাসছে, তাঁদের এক জন পার্থসারথী। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁকে দলে নেওয়ার বিরুদ্ধে বিজেপি সমর্থকদের নামে ব্যানার পড়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, জনসভায় শহর থেকে কত লোক কী যাবে, কখন তারা সভাস্থলের দিকে রওনা দেবে, কোন এলাকার লোক কোন গাড়িতে যাবে সে সব বিষয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বিনয় ভবনে রানাঘাট শহর তৃণমূলের তরফে সভা ডাকা হয়েছিল। শহরের ২০টি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং ৭৬টি বুথের সভাপতি ও সক্রিয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ঠিক হয়, দুপুর ১২টার মধ্যে সভার উদ্দেশে দলের নেতাকর্মীরা রওনা হবেন। শহরের পূর্ব এবং পশ্চিম পাড়ের কর্মীদের যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হবে। শহর থেকে ১০টি বাস ছাড়বে। এ ছাড়া দুটো ম্যাজিক গাড়ি, কয়েকটি টোটো এবং বেশ কিছু মোটরবাইকে কর্মীদের সভায় যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
ওই প্রস্তুতি সভায় শহর তৃণমূলের সভাপতি পবিত্র ব্রহ্ম, প্রাক্তন সভাপতি অসিত দত্তেরা উপস্থিত হলেও পার্থসারথী আসেননি। পবিত্র বলেন, “উনি কেন সভায় এলেন না, তা বলতে পারব না। ওঁকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছিল।” শহরে থাকলে যিনি প্রায় সব অনুষ্ঠানে যান, তাঁর এই অনুপস্থিতি নিয়ে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে। পার্থসারথীর অবশ্য বলেন, “এই নিয়ে আগেই আমার অফিসে বসে আলোচনা হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই যাইনি। এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই।”
বিজেপির দিকে ঝোঁকার কারণেই নেত্রীর জনসভার ব্যাপারে তাঁর গা-ছাড়া মনোভাব বলে যে তৃণমূলের একাংশে জল্পনা হচ্ছে, তা কতটা সত্যি? পার্থসারথী পাল্টা বলেন, “কে এই সমস্ত কথা বলছে? আমি নিজে কৃষ্ণনগরের বৈঠকে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি, রানাঘাট শহর থেকে আগের চেয়ে বেশি লোক নিয়ে যাব!”