Government Allowance

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ধর্মঘটে তরজা শুরু

অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘শুক্রবারও অফিস খোলা থাকবে। তার পরে ধর্মঘট নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা আসবে তা কার্যকর করা হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ০৮:১৯
Share:

ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

মহার্ঘ ভাতা, স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগের দাবিতে এর আগে কর্ম বিরতিতে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আজ শুক্রবার এ বারে তাঁরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি অফিস, আদালতের কর্মীদের একাংশ সেই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন। তবে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের কর্মী এবং তাঁদের শিক্ষক সংগঠন এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করছে। শুধু বিরোধিতা নয়, শুক্রবার তাঁরা সরকারি অফিস ও বিদ্যালয় সচল রাখবেন বলে এ দিন জানিয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘শুক্রবারও অফিস খোলা থাকবে। তার পরে ধর্মঘট নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা আসবে তা কার্যকর করা হবে।’’

রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদক সঞ্জয় সাহাবলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত সমস্ত কর্মচারীরা শুক্রবার ধর্মঘট পালন করছি। আমরা অফিসে তো আসবই না। সেই সঙ্গে অফিসে যাতে অন্যরা না আসেন সে বিষয়ে তাঁদের কাছে অফিসের গেটে দাঁড়িয়ে আমরা অনুরোধ করব।’’

Advertisement

তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলার আহ্বায়ক দেবাশিস সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘শুক্রবার সমস্ত অফিস খোলা থাকবে। আমাদের সংগঠনের কর্মীরা অফিসে আসবেন সরকারি কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার সব রকমের চেষ্টা করব। এ দিন এ বিষয়ে আমরা সমস্ত অফিসে প্রচার করেছি।’’

বিদ্যালয়গুলিতে ধর্মঘট করার কথা ঘোষণা করেছেন ধর্মঘট সমর্থকেরা। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক নবেন্দু সরকার বলেন, ‘‘যৌথ মঞ্চ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এই ধর্মঘট আমরা পালন করব। সকল রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে আমরা বোঝাচ্ছি কেন এই ধর্মঘট। আশা করি আমাদের এই ধর্মঘট সফল হবে।’’

আজ শুক্রবার জেলার সব আদালত অচল হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্যের কার্যকরী সম্পাদক বিনয় হালদার বলেন, ‘‘জেলার সব আদালতে আমরা ধর্মঘট করছি। আমরা কেউ অফিসে যাব না। অফিসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কর্মচারীদের বোঝাব। আশা করি জেলার একজন কর্মীও আদালতে কাজ যোগ দেবেন না।’’

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অরুন বিকাশ দাম আবার বলেন, ‘‘আমরা এই ধর্মঘটে বিপক্ষে। আমাদের সংগঠনের সকল সদস্য সহ প্রত্যেকের কাছেই বলেছি ধর্মঘট নয়, বিদ্যালয় করুন। সেই মতো আমরা বিদ্যালয় সচল রাখব, বিদ্যালয় মিড ডে মিল চালু রাখা হবে।’’

তবে ব্যাঙ্ক বা ডাকঘর যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। সেহেতু সেগুলি সচল থাকার কথা। মুর্শিদাবাদের এলডিএম সুধীর কুমার বলেন, ‘‘শুক্রবার ব্যাঙ্কে কোনও ধর্মঘট নেই। যথারীতি সব ব্যাঙ্ক শুক্রবার চালু থাকবে।’’ তবে ডাক বিভাগের মুর্শিদাবাদের সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রবাল বাগচী বলেন, ‘‘ডাকঘরে ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে কি না, জানা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন