Student Swept Away

স্কুলে যাওয়ার পথে জলের তোড়ে ভেসে গেল কিশোর, কোনওক্রমে প্রাণ রক্ষা! সাইকেল কিনে দেওয়ার আশ্বাস বিধায়কের

ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে ফরাক্কার সংযোগকারী রাস্তা নিশিন্দ্র কাটান। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ওই রাজ্যের উঁচু অংশের জল নেমে আসে। তার জেরে প্লাবিত হয় নিশিন্দ্র কাটান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৮:৩৭
Share:

জলের তোড়ে ভেস যাওয়া সেই ছাত্র। নিজস্ব চিত্র।

ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার নিশিন্দ্রা কাটান। স্কুলে যাওয়ার পথে জলের তোড়ে ভেসে গেল এক ছাত্র। বরাতজোরে ছাত্রটি বাঁচলেও, জলে ভেসে যায় সঙ্গে থাকা তার সাইকেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। ওই ছাত্রকে সাইকেল কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে ফরাক্কার সংযোগকারী রাস্তা নিশিন্দ্র কাটান। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ওই রাজ্যের উঁচু অংশের জল নেমে আসে। তার জেরে প্লাবিত হয় নিশিন্দ্র কাটান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সাইকেল চালিয়ে নিশিন্দ্র কাটান পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল এক কিশোর। জলের প্রবল স্রোতে সাইকেল-সহ ভেসে যায় ছাত্রটি। কোনও রকমে পাড়ে ওঠে ছাত্রটি। স্থানীয়েরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তবে ছাত্রের সাইকেলটি তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন বিধায়ক।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিশিন্দ্রা কাটানে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বর্ষার সময়ে এ রকম দুর্ঘটনা হয়। যদিও গোটা বিষয়টির দায় ফরাক্কার এনটিপিসি কর্তৃপক্ষের উপরে চাপিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, গোটা এলাকাটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অধীনে। তাই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের। রক্ষণাবেক্ষণ না করলেও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিচ্ছে না তারা। বিধায়কের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের দায়িত্বে এখানে সেতু তৈরির কথা ছিল। কিন্তু ফরাক্কা কর্তৃপক্ষ কোন দায়িত্ব নিচ্ছেন না। রাজ্য সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছে। ছাত্রটি সুস্থভাবে ফিরেছে এটাই অনেক। ওকে একটা সাইকেল কিনে দেব।’’

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের উঁচু অংশে রাতভর বৃষ্টির জেরে জলের স্রোত বাড়তে থাকে ফরাক্কা এলাকায়। রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে নদীর জল। ঝাড়খণ্ডের ৮০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে ফরাক্কার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাহাড়ি জল বাড়তে থাকায় নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় নিশিন্দ্রা কাটানের রাস্তার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। সেই সময় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে গিয়ে জলের স্রোতে ভেসে যায় ওই ছাত্র। তবে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচে ছাত্রটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement