আসছে লোকসভা ভোট, উদ্বোধন হল তিন দমকল কেন্দ্রের

বহু দিনের দাবি মিটল অবশেষে

তৎকালীন বাম সরকারের আমলে  ১৯৯৬ সালে তেহট্ট মহকুমা ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই  তেহট্টে একটি দমকল কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪১
Share:

তেহট্ট দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধনে মন্ত্রী সুজিত বসু। নিজস্ব ছবি

এলাকার মানুষের দাবি মেনে শেষ অবধি দমকল কেন্দ্র চালু হল তেহট্টে। সোমবার এই দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এ দিন থেকে ওই কেন্দ্রে দু’টি দমকলের গাড়ি থাকবে। ওই কেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।

Advertisement

তৎকালীন বাম সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালে তেহট্ট মহকুমা ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই তেহট্টে একটি দমকল কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকার মানুষ।

সেই দাবি বাম সরকারের আমলে পূরণ হয়নি। এত দিন এলাকায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কৃষ্ণনগর বা করিমপুর থেকে দমকলের গাড়ি আসত। সেই সমস্যার কথা বর্তমান বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তকে জানানোর পরে তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন। এবার সেই দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। এলাকার বাসিন্দারা জানান, তেহট্টে এই দমকল কেন্দ্র হওয়ায় শুধু তেহট্টই নয়, পাশাপাশি পলাশিপাড়া থানা ও চাপড়া থানার অনেক গ্রাম উপকৃত হবে। তাঁরা জানান, আগে এলাকায় কোথাও আগুন লাগলে দূরের করিমপুর বা কৃষ্ণনগর থেকে দমকলের গাড়ি আসতে আসতে বেশির ভাগ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ আকার নিত।

Advertisement

তেহট্টে এই দমকল কেন্দ্র হওয়ায় এখন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেক কম সময় লাগবে। তেহট্টের বাসিন্দা গৌরচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘এখানে এত দিন কোনও আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিন আসত করিমপুর বা কৃষ্ণনগর থেকে। যা গড়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে খবর দিয়ে ইঞ্জিন আসতে অনেক সময় লাগত।’’ তিনি জানান, এর ফলে দেখা যেত, অনেক সময় সেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সে জন্য তেহট্টে একটা দমকল কেন্দ্র বানানোর দাবি ছিল এলাকাবাসীর।

একই কথা জানান পলাশিপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এখান থেকে তেহট্টের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। সেখানে করিমপুর বা কৃষ্ণনগরের দূরত্ব এর চার গুণ। তেহট্টে দমকল কেন্দ্র হওয়ায় পলাশিপাড়া থানার বিভিন্ন এলাকার উপকার হবে।

তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত জানান, একটি দমকল কেন্দ্রের জন্য তেহট্ট এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। সেই দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। মূলত তাঁর উদ্যোগে তৈরি এই দমকল কেন্দ্রের এ দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুজিত বসু। এই দমকল কেন্দ্র হওয়ায় শুধু তেহট্ট এলাকার মানুষ নয়, সুবিধা হবে আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। দমকলের আধিকারিক তুষার সেন বলেন, ‘‘আপাতত দু’টি ইঞ্জিন তেহট্ট কেন্দ্রে থাকবে। সেই দু’টি দিয়েই তেহট্ট দমকল কেন্দ্র চালু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন