সন্ত্রাস-কলঙ্ক গায়েব

গণতন্ত্রেরই গান তৃণমূলে

নদিয়া জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা সদস্যের সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম না। শুধু তাঁদের উপরেই নির্ভর করছিল ৬৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য। কিন্তু এই মুহূর্তে তার চেয়েও বড় কথা হল, লোকসভা নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে কার্যত ‘গণতন্ত্রের জয়’ ধ্বনি তোলার সুযোগ পেল তৃণমূল।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫১
Share:

রুইপুকুরে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র

প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি, অথচ জয়ীও বলা যাচ্ছিল না। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায় আসতেই হাঁফ ছাড়ল জেলা তৃণমূল।

Advertisement

নদিয়া জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা সদস্যের সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম না। শুধু তাঁদের উপরেই নির্ভর করছিল ৬৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য। কিন্তু এই মুহূর্তে তার চেয়েও বড় কথা হল, লোকসভা নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে কার্যত ‘গণতন্ত্রের জয়’ ধ্বনি তোলার সুযোগ পেল তৃণমূল। যা না হলে বিরোধীরা ফায়দা, বিশেষ করে বিজেপি ফায়দা লুটবে বলে তাদের আশঙ্কা ছিল।

জেলাস্তরের এক তৃণমূল নেতার কথায়, “একটু উদ্বেগ তো ছিলই। এতগুলো গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্য ঝুলে ছিল। আবার ভোট হলেও ওই সব পঞ্চায়েতে আমরাই জিততাম। কিন্তু লোকসভা ভোট? সন্ত্রাস-সন্ত্রাস করে চেঁচিয়ে বিজেপি ক্ষীর খেয়ে যেত। আমরা ক্লিনচিট পেলাম।”

Advertisement

প্রত্যাশিত ভাবেই, এই রায়ে হতাশ বিরোধীরা। কেননা মনোনয়ন পর্বে তুমুল সন্ত্রাস করে তৃণমূল তাদের লড়তেই দেয়নি বলে বারবার অভিযোগ করে এসেছেন তাঁরা। ফলে, ফের ভোট হলে অন্তত কিছু আসন তাঁরা পেতেন, এমন দাবিও করা হচ্ছিল। এই রায়ে সে গুড়ে বালি পড়ল। বিজেপি নেতাদের আক্ষেপ, এই রায়ের ফলে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা বড় অস্ত্র কিছুটা ভোঁতাই হয়ে গেল।

নদিয়ায় ১৮৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক থেকে একাধিক তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। সেগুলিকে বাদ দিয়েই শুক্রবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন ঝুলে থাকা ৬৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের সংখ্যা যোগ করলে তিনটি বাদে বাকি সব পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে চলে যাবে। করিমপুরের যমশেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেবে বিজেপি। করিমপুর ১ ব্লকের হরেকৃষ্ণপুর ও রানাঘাট ১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে থাকবে। অর্থাৎ তাদের ভাগ্য এখনও ঝুলেই থাকল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement