শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধানশিক্ষককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুরের বাদকুল্লা অঞ্জনগড় হাই স্কুলে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করেন শিক্ষকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৮
Share:

বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধানশিক্ষককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুরের বাদকুল্লা অঞ্জনগড় হাই স্কুলে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করেন শিক্ষকরা। বুধবার অবশ্য স্কুলের অবস্থা স্বাভাবিক হয়। আজ, বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠক করার কথা। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রহৃত ওই শিক্ষক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’’

Advertisement

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দশম শ্রেণির প্রথম ইউনিট টেস্টের ফল প্রকাশিত হয়। স্কুলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, মার্কশিট দেওয়া হবে পড়ুয়াদের বাবা কিংবা মায়ের হাতে। কেন? স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, সামনে মাধ্যমিক। বাবা-মা যাতে ছেলেমেয়েদের প্রতি নজর রাখেন সেই কারণেই তাঁদের হাতে মার্কশিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোযোগ, দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া তার বাবা-মাকে না এনে এক দাদাকে নিয়ে স্কুলে এসেছিল। ওই দাদার হাতে মার্কশিট তুলে দিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন ওই সহকারি প্রধানশিক্ষক। অভিযোগ, প্রথংমে বচসা শুরু হয়। তারপরেই ওই শিক্ষককে মারধর করে ওই পড়ুয়া।

অভিযুক্ত ওই ছাত্র জানিয়েছে, ‘‘বাড়িতে বাবা মা কেউই ছিল না। তাই দাদাকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ওই শিক্ষককে চড় মারিনি। উনিই আমাকে মারতে গিয়েছিলেন। আমি তখন বাধা দিয়েছিলাম। তখন হয়তো উনি কোনও ভাবে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন।’’ ঘটনার পরে শিক্ষকদের একাংশের ক্ষোভ, পড়ুয়াদের ভাল ফলের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও যা ঘটল সেটা নিন্দনীয়। এটাকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিখিলকৃষ্ণ পাল বলেন, ‘‘খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে দেখি শিক্ষকরা ক্লাস বয়কট করেছেন। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সভা ডাকার আবেদন জানান। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সভা ডেকেছি। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হওয়ার তা হবে। শুনেছি ওই ছাত্র শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চেয়ে এসেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement