Tehatta

১৮ লক্ষ ব্যয়ে সংস্কারের পরেই বৃষ্টিতে বেহাল তেহট্টের রাস্তা! শো-কজ় নোটিস ঠিকাদারকে

কোথাও জল জমে গিয়েছে। কোথাও বা আবার পিচ উঠে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা। সারাইয়ের পরেও রাস্তার এ হেন দশা কেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৬
Share:

বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে চাতরপাড়া, কালীতলা পাড়া এলাকায় নতুন রাস্তার উপর জলে জমে গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করে সংস্কারকাজের কিছু দিনের মধ্যেই মাত্র এক দিনের বৃষ্টিতে বেহাল দশা তেহট্টের একটি রাস্তার। কোথাও জল জমে গিয়েছে। কোথাও বা আবার পিচ উঠে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা। সারাইয়ের পরেও রাস্তার এ হেন দশা কেন? তার কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হল ওই রাস্তা তৈরির কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারকে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, তেহট্ট পঞ্চায়েত থেকে কৃষ্ণরায় মন্দির হয়ে মহকুমাশাসকের অফিস পর্যন্ত রাস্তা সারাইয়ের কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কাবারুল মহলদারকে শো-কজ় নোটিস পাঠিয়েছে তেহট্ট ১ ব্লক অফিস। বৃষ্টি হতেই তাতে জল জমে যেন জলাশয়ে পরিণত হত ওই রাস্তার বেশ কয়েকটি জায়গা। রাস্তা সংস্কারের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। কিছু দিন আগে কৃষ্ণরায় মন্দির থেকে মহকুমাশাসকের দফতর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেয় তেহট্ট ১ ব্লক অফিস।

কৃষ্ণরায় মন্দির থেকে পঞ্চায়েতগামী রাস্তা সংস্কার করে তেহট্ট পঞ্চায়েত। অভিযোগ, সংস্কারকাজ শুরু হলেও কালীতলা পাড়া এলাকায় রাস্তা ঠিক মতো হচ্ছে না বলে দাবি করেন স্থানীয়েরা। তা নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে বচসাও হয় তাঁদের। তাতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি, চাতরপাড়া এলাকাতেও একই ঘটনা হয়। সেখানেও ঠিকাদার ঠিক মতো কাজ করছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি গোটা রাস্তার সংস্কারকাজ শেষ হলেও এলাকার মানুষজনের দুর্ভোগ কমেনি বলে দাবি।

Advertisement

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাস্তা সারাইয়ের কাজ শেষের কিছু দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে চাতরপাড়া, কালীতলা পাড়া এলাকায় নতুন রাস্তার উপর জলে জমে গিয়েছে। এ রাস্তা দিয়েই তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল, আদালত, মহকুমা অফিস, পিডব্লুডি বাসস্ট্যান্ড-সহ নানা জায়গায় কাজে যেতে হয় বাসিন্দাদের। এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ঠিকমতো সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ।

ব্লক অফিস সূত্রে খবর, রাস্তা সারাই করেছিলেন কানাইনগরের বাসিন্দা কাবারুল মহলদার। তাঁকে শো-কজ় নোটিস দেওয়া হয়েছে। কেন এত তাড়াতাড়ি রাস্তা বেহাল হল, তার উত্তর তিন দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে কাবারুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাবারুলকে ফোন করা হলেও তা ধরেননি তিনি। তেহট্ট ১ ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, ‘‘ঠিকাদারকে শো-কজ় করা হয়েছে। যে ঠিকাদার ওই রাস্তা করেছেন, তাঁকে দিয়েই তা মেরামত করানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন