‘দাপুটে’ বিজেপি নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে। —নিজস্ব চিত্র।
নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন নির্মল ঘোষ। এই ‘দাপুটে’ বিজেপি নেতা হাঁসখালি ব্লকের বিজেপির প্রতিষ্ঠাতাও। তাঁকেই নিজেদের দলে নিল তৃণমূল। মঙ্গলবার জোড়াফুল শিবিরের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন।
তৃণমূলের বিধায়ককে খুনের অভিযোগে ছয় বছর জেল খাটা বিজেপি নেতাকে দলে নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে। এই প্রসঙ্গে ‘দাপুটে’ বিজেপি নেতাকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে জয়প্রকাশের বক্তব্য, ‘‘নির্মল বাবুকে ফাঁসিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের একটা অংশ। ওঁ খুবই দক্ষ এবং ভাল সংগঠক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার পক্ষপাতী নই, তবে ভাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সব সময় স্বাগত।’’ তৃণমূলকে নিশানা করে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘দলের বিধায়ক খুনে অভিযুক্তকে যদি এ ভাবে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয় তবে তৃণমূলের কর্মীরা ঠিক করুক এবারে তাঁরা কী করবেন। ভেবে দেখুক আগামী দিনে তাঁদের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করে আছে।’’ বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী’র প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে আনন্দবাজার ডট কম-এর পক্ষ থেকে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উত্তর মেলেনি মেসেজেরও।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের রাতে হাঁসখালিতে মাজিদপুর দক্ষিণপাড়ায় ফুলবাড়ি ফুটবল মাঠে ‘আমরা সবাই ক্লাবের’ সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখছিলেন সত্যজিৎ। অভিযোগ, সেই সময়ে খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে অভিজিৎ পুন্ডারি। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। এই মামলাতেই অভিযুক্তের তালিকায় নাম জুড়েছিল সুজিত মণ্ডলের। নাম ছিল নির্মলেরও। তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথের নামও উঠে এসেছিল। আদালতের নির্দেশে বেকসুর খালাস হন জগন্নাথ, নির্মল ও মুকুল। দোষী সাব্যস্ত করা হয় সুজিত ও অভিজিৎকে।