Coronavirus

বেসরকারি বাস চলাচল নিয়ে কাটেনি জটিলতা

যদিও প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে চাকদহে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। চাকদহ বনগ্রাম ভায়া বিষ্ণুপুর, বনগ্রাম ভায়া নিমতলা এবং হেলেঞ্চা রুটের বাস চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ ও চাকদহ শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৫:২১
Share:

যাতায়াতে ভরসা এখন মোটরবাইক, সাইকেল। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

বাস চালানো নিয়ে জট কাটল না। বুধবার চাকদহ ছাড়া নদিয়ার কোথাও চলল না বেসরকারি বাস। তবে এ দিন বেসরকারি বাস মালিক সমিতি এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বাস চলাচল নিয়ে আলোচনায় বসেন আরটিও আশিস কুণ্ডু। প্রশাসনের তরফে বাস মালিকদের বৃহস্পতিবার থেকে সব রুটেই বেসরকারি বাস চালানোর কথা বলা হলেও সে সম্ভবনা কম বলেই জানা গিয়েছে।

Advertisement

নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কুণাল ঘোষ বলেন, “গত দু’দিনে যে পরিমাণ লোকসান প্রতিটি বাস মালিক বহন করেছেন, তারপর কেউ বাস নামাতে সাহস করছেন না। এই অবস্থায় সরকার অন্তত বাস মালিকদের জন্য কিছু ভাবুন। কর বা জ্বালানির ওপর সেস ছাড়ের ব্যবস্থা করুন।” এই অবস্থায় কবে থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

যদিও প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে চাকদহে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। চাকদহ বনগ্রাম ভায়া বিষ্ণুপুর, বনগ্রাম ভায়া নিমতলা এবং হেলেঞ্চা রুটের বাস চলেছে। যদিও কোনও বাসেই যাত্রী বেশি হয়নি। কোনওটিতে পাঁচশো টাকা আবার কোনও বাসে তার চেয়েও কম আয় হয়েছে। তেলের জন্য খরচ হয়েছে তার দ্বিগুণ।

Advertisement

বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ চাকদহ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাতে চারজন যাত্রী বসে রয়েছেন। আরও কয়েকজন যাত্রীর অপেক্ষায় রয়েছেন চালক ও অন্য কর্মীরা। চাকদহ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের ৭০টি বাস চলাচল করে। বাস মালিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সমীর ধর বলেন, “মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ আলোচনায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী হয়নি। বাস চলতে শুরু হলে যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।”

নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য অসীম দত্ত বলেন, “বাস চললে খরচ যেমন আছে তেমনই বাস না চললেও প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা গুনতে হয় আমাদের। যেমন প্রতিটি বাসের জন্য মাসে কমপক্ষে পাঁচ-সাত হাজার টাকা ইন্সিওরেন্স দিতে নয়। রোড ট্যাক্স হাজার দেড়েক টাকা। এই লকডাউনের মধ্যেও সেই সব কর আমাদের মকুব করা হয়নি। ভাড়া বাড়ানো যাচ্ছে না। তা হলে এত টাকার দায় কী করে বইবেন বাস মালিকেরা?’’

নদিয়ায় মোট ৫৯টি রুটে কমবেশি ছ’শো বাসের অনুমোদন আছে। তবে নিয়মিত চলাচল করে ৪৬৫ থেকে ৫১৫টির মতো বাস। এ দিনের আলোচনায় উপস্থিত সিটু নেতা এস এম সাদী দাবি তোলেন লকডাউনের তিন মাসে প্রত্যেক বাসকর্মীকে সরকারের তরফে পাঁচ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যেহেতু যাত্রী হবে না, তাই এখন থেকে সরকারি বাস চালকদের মাসে ১৮ হাজার, কন্ডাক্টারদের ১৫ হাজার এবং খালাসিদের ১২ হাজার করে টাকা দিতে হবে। দাবি করা হয় বাসগুলি স্যানিটাইজ় করার ব্যবস্থা এবং বাস কর্মীদের জন্য বীমা করানোর।

নদিয়ার আরটিও আশিস বলেন, “আমরা বলেছি বাস চালু হলেই লোক হবে। মানুষ দেখছেন বাস চলছে না। কিন্তু নিয়মিত হলেই মানুষ নিশ্চয় আসবেন। ওঁদের দাবিগুলো যথাস্থানে জানানো হবে। যাতে সব রুটেই বাস চলাচল শুরু করা যায় সে জন্য মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন