Surjya Kanta Mishra

জোট বেঁধে লড়াইয়ের বার্তা সূর্যকান্তের

রঘুনাথগঞ্জে সূর্যকান্ত বলেন,  ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারাতে এই দুই শক্তির বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করব আমরা। এই সিদ্ধান্ত দলের সর্বোচ্চ স্তরে গৃহীত হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৫
Share:

রঘুনাথগঞ্জে সূর্যকান্ত। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের সংগঠন মজবুত করতে এলাকার নেতা ও কর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করল সিপিএম নেতৃত্ব। শনিবার কান্দি পুরসভা সংলগ্ন জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে হাজির ছিলেন রাজ্য সিপিএমের অন্যতম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এ দিন রঘুনাথগঞ্জে সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারাতে এই দুই শক্তির বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করব আমরা। এই সিদ্ধান্ত দলের সর্বোচ্চ স্তরে গৃহীত হয়েছে।’’

Advertisement

সূর্যকান্ত রঘুনাথগঞ্জে বলেন, বাম আমলে প্রতি বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হত। প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ছিল ৯৯ শতাংশ। তিনি দাবি করেন, ‘‘একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সমীক্ষা করে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে ভারত শিক্ষার হার ও স্কুল ছুটে লজ্জাজনক ভাবে পিছিয়ে ভারত। আর ভারতে সবচেয়ে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।’’ সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ইডি, সিবিআই যাঁদের ধরছে তারা কারা? কান তো টানলেন, এ বার মাথাকে ধরতে হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল যে এখন একটা পারিবারিক দল তা পরিষ্কার। পিসি ভাইপোর দল আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না।’’

তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পার্থপ্রতিম বলেন, “সাঁইবাড়ি হত্যা কাণ্ডের নায়ক সূর্যকান্ত মিশ্রের কাছ থেকে বাংলার সচেতন মানুষ কোনও কথা শুনতে চায় না। সিপিএমকে বর্তমানে রাজ্যে দূরবীন দিয়েও দেখা যায় না বলেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

Advertisement

কান্দির বৈঠকে কর্মীদের কী বার্তা দিয়েছেন সেটা অবশ্য খোলসা করে কিছু বলেননি সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিরোধী শক্তিকে ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেন সূর্যকান্ত। ওই দিন কর্মী বৈঠকের পর সিপিএমের কান্দি এরিয়া কমিটির কার্যালয়ে সূর্যকান্ত বলেন, “জেলার মধ্যে সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জোটের প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর সেখানে প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকদের একাধিকবার বদলি করছে শাসকদল। সেখান থেকেই স্পষ্ট বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। সাগরদিঘি কেন্দ্রে থানার ওসি থেকে বিডিও, পুলিশ সুপারকেও কম সময়ের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে রাজ্য জুড়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে সরকারি কর্মীদের মধ্যে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল। এক সাগরদিঘির ফলাফলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলেই পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার খেলায় মেতেছে।”

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা পার্থপ্রতিম বলেন, “সাগরদিঘিতে সরকারি নিয়ম মেনে বদলি হয়েছে। প্রশাসনকে পরিচালনা তৃণমূল দল করে না। যেটা সিপিএম করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন