fare

Ferry Services: ভাড়া নিয়ে মারপিটে বন্ধ ফেরি চলাচল

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নৌকায় তোলা আনাজের দাম নিয়ে কালীগঞ্জের এক চাষির সঙ্গে ঘাটের কর্মচারিদের বচসা বাধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালীগঞ্জ ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২২ ০৫:৫৫
Share:

নিজস্ব চিত্র

নৌকায় তোলা আনাজের ভাড়া নিয়ে যাত্রীর সঙ্গে ঘাট কর্মচারিদের বচসা ও মারপিটের জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রইল কালীগঞ্জের বল্লভপাড়া ফেরিঘাট। মারামারিতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন জখম হন। দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। এক মাঝিকে আহত অবস্থায় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নৌকায় তোলা আনাজের দাম নিয়ে আনার মল্লিক নামে কালীগঞ্জের এক চাষির সঙ্গে ঘাটের কর্মচারিদের বচসা বাধে। আনার তাঁর কয়েক জন আত্মীয়কে সেখানে ডেকে নেন। দুই পক্ষে মারপিট বেধে যায়। আনার ও মোসারফ মল্লিক নামে দু’জনকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে কৃষ্ণনগরে স্থানান্তরিত করা হয়। এর পরেই বল্লভপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ ফেরিঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেন।

কালীগঞ্জ ও তার আশপাশের এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাট বল্লভপাড়ার অপর প্রান্তে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহর। নদিয়ার লোকজন ওই ঘাট পার করে সহজেই কাটোয়া ও বর্ধমান শহরে পৌঁছে যেতে পারে। নদিয়া থেকে বহু চাষি, ব‍্যবসায়ী ও অন্য যাত্রী মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ সেখান দিয়ে পারাপার করেন। কিন্তু যাত্রীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, ওই ফেরিঘাটের কর্মচারিরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অধিকাংশ সময় সুযোগ বুঝে অসঙ্গত ভাড়াও চেয়ে বসেন। তারই প্রতিবাদে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

এ দিন যাঁরা ক্ষোভ জানাতে বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে জড়ো হয়েছিলেন, তাঁদের এক জন আব্দুল শেখের অভিযোগ, “ফেরিঘাটের কর্মচারিরা সুযোগ পেলেই যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা করে। প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করে।” ওই এলাকায় ভাগীরথীর উপরে সেতুর দাবিও তুলছেন তাঁরা। বল্লভপাড়া ফেরিঘাটের ইজারাদারদের তরফে অশোক সরকারের পাল্টা বক্তব্য, “নসিপুর গ্রামের কয়েক জন অতিরিক্ত পণ্যের ভাড়া দিতে চাইছিল না। তার প্রতিবাদ করায় আমাদের তিন জন মাঝিকে মারধর করা হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরেই বাধ্য হয়ে ঘাট বন্ধ করতে হয়েছিল।” দুই জেলার পুলিশের আশ্বাস পাওয়ার পরেই বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নিরস্ত হন, দুপুরের পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফেরি চলাচল কিছু সময় বন্ধ থাকলেও পরে তা স্বাভাবিক হয়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন