জোড়া-ফলা: সভায় রাজীব ও মুকুল। নিজস্ব চিত্র
দলবদলের জেরে বেশ কয়েকটা পুরসভার দখল পাওয়ার পরে ডোমকলে ভোটে জিততে মরিয়া তৃণমূল। তাই একের পর এক তাবড় নেতা-নেত্রীদের আনা হচ্ছে প্রচারে।
শুক্রবার প্রচারে এসেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সভা করে গেলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল রায়। সূত্রের খবর, দিন কয়েকের মধ্যেই প্রচারে আসতে পারেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন গোড়া থেকেই বিরোধীদের নিয়ে চড়া মেজাজে ছিলেন মুকুল রায়। সন্ধ্যায় ডোমকল পুরসভার ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রস্থলে প্রচারে এসে মুকুল বলেন, ‘‘আমরা রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দের ভক্ত। এখানে মেরুকরণ চলবে না।’’ রাজীব আবার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস নেতাদের আক্রমণ করে গিয়েছেন আগাগোড়া। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ভোট ভিক্ষা করতে আসি না। আসি ভোট ধার নিতে। জেতালে ভোটের পরে সুদ সমেত ফেরত দেব ডোমকলকে।’’
সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ, ব্যক্তিগত আইন মুছে দেওয়া ছাড়াও নানা প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণের সঙ্গেই বাম ও কংগ্রেসকেও বিঁধেছেন দুই নেতা। ডোমকল পুরভোটে বাম ও কংগ্রেসের জোট হয়েছে। কিন্তু তলায় তলায় বিজেপি আর কংগ্রেসের বোঝাপড়াও হয়েছে বলে দাবি মুকুলের। তাঁর কথায়, ‘‘অধীরবাবু, আনিসুরবাবুরা জবাব দিতে পারবেন, কোন নীতির সঙ্গে জোট করেছেন। আর বিজেপির সঙ্গেও বোঝাপড়া হয়েছে কংগ্রেসের।’’
মুকুল আরও দাবি করেন, ‘‘এখানে সন্ত্রাসের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বামেদের মুখে এটা মানায় না। আপনারা কোনও দিনই মানুষের ভোটে জেতেননি। খুন-সন্ত্রাস করেই জিতেছেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমরা ডোমকলে জিতলে ছ’মাসের মধ্যে আর্সেনিকমুক্ত জলের ব্যবস্থা করব।’’
ডোমকল এখন শাসকের পাখির চোখ। আবার বিরোধীদেরও সম্মানের লড়াই। ফলে একদিকে সিপিএম দুর্গরক্ষা করতে এক সময়ের চরম শত্রু কংগ্রেসের হাত ধরেছে। অন্যদিকে নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে মরিয়া অধীর চৌধুরী। আর শাসকদলের একের পর এক নেতা ডোমকলে এসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন। শেষমেশ কার দখলে যাবে ডোমকল, তা অবশ্য সময়েই বলবে।