বাসিন্দা ৩৫ হাজার, অথচ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই

মাজদিয়া-পানশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মীনাক্ষী মণ্ডলআনন্দবাস, ঘোলাপাড়া, গৌরনগর, ভালুকা অঞ্চলকে যুক্ত করেছে প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা রাস্তা। প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ ওই পথে যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ওই রাস্তার সংস্কার হয় না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৪
Share:

কানাইনগর পাইকারি সব্জি বাজারের রাস্তা এখনও মাটির। বর্ষায় সমস্যায় পড়েন লোকজন। নিজস্ব চিত্র

আনন্দবাস, ঘোলাপাড়া, গৌরনগর, ভালুকা অঞ্চলকে যুক্ত করেছে প্রায় দু’কিলোমিটার লম্বা রাস্তা। প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ ওই পথে যাতায়াত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ওই রাস্তার সংস্কার হয় না।

Advertisement

ভীমচন্দ্র ঘোষ, বুথ নম্বর: ২১৪

রাস্তাটি জেলা পরিষদের অধীন। বর্ষার আগেই যাতে রাস্তাটির সংস্কার হয় সে ব্যাপারে পঞ্চায়েতের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

কুটিপানশিলা মোড় থেকে ফরেস্টডাঙা গ্রাম— অনেক দিনের রাস্তা হলেও সামান্য অংশ ঝামা ইটের, বাকিটা মাটির। রাস্তা পাকা হলে হাজার দুয়েক পরিবারের সঙ্গে পঞ্চায়তের যোগাযোগ সহজ হবে।

মিন্টু মোল্লা, বুথ নম্বর: ১৯৭

মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের রাস্তাটি পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ। কুটিপানশিলা থেকে নতুন ঘোলাপাড়ার হরিতলা পর্যন্ত দু’কিলোমিটার রাস্তা পঞ্চায়েতের তরফে ঝামা দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। পরবর্তী তিন কিলোমিটারে এনআরইজিআই প্রকল্পে মাটি ফেলার কাজও শেষ হয়েছে। চেষ্টা হচ্ছে রাস্তার ওই অংশটা যাতে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় সম্পূর্ণ করা যায়।

মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের অর্ধেক মানুষই তাঁতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এঁদের অনেকেই এখন বয়সের ভারে তাঁত বুনতে অক্ষম। ফলে বেরোজগার। কিন্তু এঁরা কেউ বার্ধক্য ভাতা বা অন্য কোনও সরকারি আর্থিক সহায়তা পান না।

তপন মণ্ডল, বুথ নম্বর: ১৯৬

আমাদের পঞ্চায়েতে সব মিলিয়ে ছ’শো জন মতো বার্ধক্যভাতা পান। যদিও প্রায় দু’হাজার মানুষ ভাতা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। আমাদের এমন অনেক বুথ আছে, যেখানে একটি পারিবারও ভাতা পাননি। আমরা একটি সংশোধিত বিপিএল তালিকা তৈরি করে সকলে যাতে বার্ধক্যভাতা পান সেই চেষ্টা করছি।

তাঁত নির্ভর মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের মহিলারা এক সময়ে তাঁতের অনুসারি শিল্প হিসেবে নানা কাজ করে উপার্জন করতেন। কিন্তু তাঁতের বাজার নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার মহিলাদের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

বুলবুল বিবি, বুথ নম্বর: ১৯৭

এ বিষয়ে পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে। আনন্দধারা নামে একটি প্রকল্পের অধীনে গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। নানা রকম হাতের কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আনন্দধারা প্রকল্পে আশিটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে আমাদের পঞ্চায়েতে। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন মেলা উৎসবে বিক্রির ব্যবস্থাও করা হয়।

মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের হাট অন্নদাগঞ্জ অঞ্চলে নিকাশি নালা নেই বললেই চলে। ওই এলাকায় বাড়িগুলো সংস্কার করে রাস্তা থেকে উঁচু করেছেন বাসিন্দারা। ফলে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে।

সুভাষ পাল, বুথ নম্বর: ২০৪

পঞ্চায়েত থেকে ইতিমধ্যেই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। বর্ষার আগেই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা রাখছি।

মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতে হত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রচুর, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের এক জনের নামও উঠল না কেন?

বিপদ ঘোষ, বুথ নম্বর: ২১৪

২০১১ সালে যখন এই তালিক তৈরি হয়েছিল, তখন এই পঞ্চায়েতে শাসন ক্ষমতা ছিল সিপিএমের দখলে। তাঁরা কী ভাবে কাজ করেছেন তা বলতে পারবো না।

মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের উপর দিয়ে এগারো হাজার ভোল্টের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার গিয়েছে। শিক্ষা কেন্দ্রটির লাগোয়া বিদ্যুৎ পরিবাহী খুঁটি। মাঝেমাঝেই সেখানে ‘ফ্ল্যাশ’ হয়ে আগুন বের হয়। ছোট পড়ুয়াদের নিয়ে আতঙ্কের শেষ থাকে না। ওই খুঁটি সরানোর কী ব্যবস্থা করছে পঞ্চায়েত?

সুবল মিস্ত্রি, বুথ নম্বর: ২০২

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের নিজস্ব কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। অথচ প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বাস করেন এই পঞ্চায়েতে।

গোপাল মণ্ডল, বুথ নম্বর: ২০৮

এ নিয়ে আমরা যোগাযোগ করছি। শিমূলগাছিতে চার বিঘা জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন