ব্লক তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর, তছনছ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বড়ঞা ব্লক তৃণমূল অফিসে আচমকা জনাকয়েক দুষ্কৃতী এসে ভাঙচুর করে চম্পট দেয়। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। ওই ঘটনায় মনিরুল শেখ, তাজিবর শেখ ও জেসু শেখ নামে তিন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশ তাঁদের বড়ঞা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ঝামেলায় উত্তপ্ত হয়েছিল বড়ঞার ডাকবাংলা বাজার এলাকা। ওই দিন বিকেলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট বাধার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এ দিন বিকেলে তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে হাজির ছিলেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিন আফাজের জনা দশেক অনুগামী। আচমকা জালালউদ্দিনের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন মোটরবাইক চেপে দলীয় কার্যালয়ে হানা দেয়। লাঠিধারী ওই লোকজন কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি জালালউদ্দিনের অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
জালালউদ্দিন অবশ্য বিষয়টিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ। তিনি ঘটনার দায় চাপিয়েছেন সিপিএমের উপর। তাঁর কথায়, “সিপিএম পরিচালিত বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতি উন্নয়নের নামে দলবাজি করছে। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। সেই কারণে ওরা আমাদের কার্যালয়ে হানা দিয়ে দলীয় কর্মীদের মারধর করল। সিপিএম নেতা আনন্দ ঘোষ ও কাম্বার মির্জার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।” সিপিএমের বড়ঞা জোনাল কমিটির সম্পাদক আনন্দ ঘোষ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “ওটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’ কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন অবশ্য বিষয়টিকে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”