TMC

সাত মাস পরে বহিষ্কৃত তহিরুদ্দিন

এ বছরের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে এনআরসি বিরোধী আন্দলনে বসা একটি সংগঠনের কর্মীদের মারধর করে তুলতে গিয়েই গুলি চালায় তহির ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০৫:০৬
Share:

খুনের দায়ে ফেরার নেতাকে বহিষ্কার করতে সময় লাগল পাক্কা সাত মাস। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জেলা নেতাদের বৈঠকে জঙ্গির ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলকে বহিষ্কার করে দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘দল বিরোধী কাজের জন্য তহিরুদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ যা শুনে জেলা কংগ্রেসের মুখাপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের এখন ছুঁচো গিলেও ওগরাতে না পারার দশা।’’

Advertisement

এ দিন দলীয় কার্যালয়ে জেলার চার কো-অর্ডিনেটরের এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত জেলা সভাপতি কিংবা দলের জেলা চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা কেউই এ ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এ বছরের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে এনআরসি বিরোধী আন্দলনে বসা একটি সংগঠনের কর্মীদের মারধর করে তুলতে গিয়েই গুলি চালায় তহির ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই নিরীহ গ্রামবাসী। পুলিশ জানায়, স্থানীয় পঞ্চায়েতের দুর্নীতি এবং এনআরসি’র বিরোধীতা করে ওই দিন সকালে সাহেবনগরে পথ অবরোধ করে ছিলেন স্থানীয় সংগঠন নাগরিক মঞ্চের সদস্যেরা। খবর পেয়ে সেই অবরোধ তুলতে আসে তহির। অবরোধকারীরা বাগ বিতণ্ডায় জড়ায় তহির। তার পরেই গাড়ির ভিতর থেকে গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান আনারউল বিশ্বাস নামে মসজিদের এক কর্মী। গাড়ি নিয়ে পালানোর সময়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সালাউদ্দিন শেখ। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। তবে সাত মাস কেটে গেলেও জেলা নেতারা তহিরকে বহিষ্কার করতে পারেননি। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, এর মধ্যে এলাকায় বেশ কয়েক বার দেখা গিয়েছে তহিরকে। তবে জেলা পুলিশ জানায়, তহির ফেরার।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে জেলার বিভিন্ন ব্লক ও শহর সভাপতি নির্বাচন করা হলেও তা অনুমোদনের জন্য কলকাতায় তৃণমূল ভবনে পাঠানো হয়েছে বলে দলের অন্দরের খবর। আবু তাহের খান বলেন, ‘‘দলের সক্রিয় নেতাদের দায়িত্বে আনা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement