প্রহৃত সৌমিত্র মন্ডল।
দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে প্রহৃত হলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের সৌমিত্র মন্ডল।
শনিবার নিয়াল্লিশ পাড়া গ্রামে গিয়েছিলেন ওই সদস্য। তখনই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হাসিবুর রহমান, উপপ্রধান সাদিকুল ইসলামের নেতৃত্ব প্রায় জনা দশেক কর্মী-সমর্থক ঘিরে ধরে বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে সৌমিত্র স্থানীয় একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে সেখান থেকে তাঁর অনুগামী দলীয় কর্মীরা উদ্ধার করে তাঁকে নিয়ে গিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির বন্দোবস্ত করেন।
সৌমিত্র মণ্ডলের অভিযোগ, জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেনের অনুগামীরা তাকে মারধর করে। যারা মারধর করেছে তারা সকলেই দলের নামে তোলাবাজি চালায়, এলাকায় মাস্তানি করা ছাড়াও তারা অসামাজিক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত। আমি গোটা বিষয়টি দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছি। ফলে আমার উপরে এ দিন ওই আক্রমণ চালায় তারা।
এ দিন জেলাপরিষদ সদস্য প্রহৃতের খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান জেলা তৃণমূল কংগ্রসের সভাপতি সুব্রত সাহা। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির উপস্থিতিতেই সুব্রত সাহার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন জেলাপরিষদের ওই সদস্য। এতে অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি। পরে তিনি জানান, ওই জেলাপরিষদের সদস্যকে মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত তারা দলের কেউ নয়, তারা দুষ্কৃতী। তবে দলের কেউ জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজীব হোসেন বলছেন, ‘‘আমি কলকাতায় আছি। বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে ওর বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেক ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। তার জেরে ওই ঘটনা কি না, খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’’
বহরমপুর থানার আইসি সনৎ দাস জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।