Jiban Krishna Saha

উচ্চ আদালতের নির্দেশ, বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গেল তৃণমূল বিধায়কের নির্বাচনী ‘কার্যালয়’

তৃণমূলের একাংশের মতে, বড়ঞার আফ্রিকা মোড় এলাকায় একটি দোতলা বাড়ির প্রথম তলে নির্বাচনী কার্যালয় ছিল জীবনকৃষ্ণের। বৃহস্পতিবার সেই বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বড়ঞা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৫:০৮
Share:

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভাঙা হল বাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হল বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কার্যালয়। ওই কার্যালয়টি ছিল একটি দোতলা বাড়িতে। সেই বাড়িটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের সময় ওই দোতলা বাড়ির নীচতলায় কার্যালয় ছিল জীবনকৃষ্ণের। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, ওই বাড়িতে দলীয় কর্মীরা বসলেও, তা মোটেই কার্যালয় ছিল না।

Advertisement

তৃণমূলের একাংশের মতে, বড়ঞার আফ্রিকা মোড় এলাকায় একটি দোতলা বাড়ির প্রথম তলে নির্বাচনী কার্যালয় ছিল জীবনকৃষ্ণের। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ সেই বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি বুলডোজ়ার ওই বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে। যদিও ওই বাড়িতে কোনও কার্যালয় ছিল না বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাহে আলমের। তিনি বলেন, ‘‘দলের কর্মীরা বসলেই সেটা কার্যালয় হয়ে যায় না।’’

স্থানীয় সূত্রের মতে, বড়ঞা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের প্রধান জ্যোৎস্না খাতুনের অনুগামীরা বড়ঞার আফ্রিকা মোড়ের ওই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের প্রার্থী জীবনকৃষ্ণের নির্বাচনী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরবর্তী কালে বড়ঞার বাসিন্দা সফিউল রহমান ওই নির্মাণটি ‘অবৈধ’ বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, পূর্ত দফতরের জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ওই নির্মাণ। এ নিয়ে শুরু হয় মামলা। আদালতের নির্দেশে গত ২৪ মে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ওই নির্মাণ ভাঙতে শুরু করে প্রশাসন। যদিও সে দিন তৃণমূল প্রধানের বাধায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রধানের দাবি ছিল, কলকাতা উচ্চ আদালত ৪৫ দাগের নির্মাণটি ভাঙার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় প্রশাসন ৪৩ এবং ৪৪ নম্বর দাগের নির্মাণ ভাঙার চেষ্টা করছে। সেই ঘটনার প্রায় ২ সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙা হয় ওই নির্মাণ।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘কোথাও কোনও অবৈধ নির্মাণ থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে দলের বলার কিছু নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন