খুনের আশঙ্কা করছেন নাড়ু

সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নাড়ুগোপাল একটা ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও সেখানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বহরমপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বনাম তৃণমূলের শহর সভাপতি তথা পুরকর্মী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের বিবাদ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত বিষয়। সম্প্রতি বহরমপুর পুরসভার এক মহিলা পুরকর্মীর বাড়িতে প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য চড়াও হয়ে অভব্যতা করেন বলে অভিযোগ। প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করেন বলে নাড়ুগোপালের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বহরমপুর থানায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নাড়ুগোপাল একটা ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও সেখানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নাড়ুগোপালের অভিযোগ, ‘‘প্রাক্তন পুরপ্রধানের মনে হয়েছে তিনি যে মৌরসিপাট্টা চালাতেন, আমার কারণে ভাটা পড়েছে। তাই নীলরতন এবং তাঁর জামাই আমাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করছেন। আমি সে কথা জানিয়েছি।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় নাডুগোপালের বক্তব্য শুনে নীলরতন আঢ্য বলছেন, ‘‘নাডুর কথা শুনে মনে হয়েছে নাডুর মতিভ্রম হয়েছে। খুন করার লোক যে আমরা নই, সেটা বহরমপুর জানে।’’

ওই ভিডিয়োয় নাড়ুগোপাল বলছেন, ‘‘নীলরতন আঢ্য শহরবাসীর নয়, তাঁর মেয়ে জামাইয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন। পুরসভা থেকে তাঁর মেয়ে জামাইয়ের স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। এমনকি ঠিকাদারীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহারের নামে দুর্নীতি করেছেন।’’ নীলরতনবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘নাড়ুগোপাল কী সতী? তদন্ত হোক, কে দুর্নীতি করেছে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’ এখন প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন নীলরতন আঢ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি কেন? নাড়ুগোপালের জবাব, ‘‘পুরসভায় প্রশাসক বসার পরেই তাঁর দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। পুরকর্মীদেরও উনি হুমকি দিচ্ছেন। তাই অভিযোগ করছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন