West Bengal Police on Cyber Crime

মমতার নাম-ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো সরকারি ঋণের বিজ্ঞাপন! ফাঁদ চেনাল রাজ্য পুলিশ, কী কী দেখে সতর্ক হতে হবে

মুখ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো বিজ্ঞাপন ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। এই ধরনের কোনও ঋণ প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ঘোষিত বা অনুমোদিত নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪১
Share:

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো সরকারি ঋণের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। সেই ফাঁদে কেউ পা দিলেই বিপদ। খোয়াতে হতে পারে হাজার হাজার টাকা। রবিবার অনলাইনের সেই ফাঁদ চিনিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ। কী কী দেখলে সতর্ক হতে হবে, বিপদে পড়লে মুক্তির উপায়ই বা কী, জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

Advertisement

রাজ্য পুলিশ রবিবার সকালে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো বিজ্ঞাপন ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। এই ধরনের কোনও ঋণ প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ঘোষিত বা অনুমোদিত নয়। বিজ্ঞাপনগুলি সম্পূর্ণ ভুয়োও প্রতারণামূলক। মুখ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি ব্যবহার করা অবৈধ, অননুমোদিত।’’

কী কী লেখা হচ্ছে ভুয়ো বিজ্ঞাপনে? পুলিশ জানিয়েছে, ‘তৎক্ষণাৎ ঋণ’, ‘সিবিল ছাড়া ঋণ’, ‘সরকার অনুমোদিত ঋণ’, ‘কোনও যাচাই ছাড়া ঋণ’-এর মতো কয়েকটি শব্দবন্ধ ভুয়ো বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করছেন প্রতারকেরা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াট্‌অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। তাতে ক্লিক করলেই ভুয়ো কোনও অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নেওয়া হতে পারে কোনও নির্দিষ্ট হোয়াট্‌সঅ্যাপ নম্বরেও। এর পর আধার কার্ড, প্যান কার্ডের তথ্য এবং ওটিপি চাওয়া হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে প্রকল্পের অগ্রিম টাকা। সেই টাকা পাওয়ার পরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এই প্রতারকেরা।

Advertisement

জনগণের প্রতি পুলিশের পরামর্শ, ‘‘সরকারি ঋণের দাবি করা কোনও বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করবেন না। অচেনা লিঙ্ক বা অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করবেন না। ব্যাঙ্কের তথ্য, পরিচয়পত্র বা ওটিপি কাউকে দেবেন না।’’ ঋণের ক্ষেত্রে কেবল অনুমোদিত ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি বা সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

কেউ প্রতারণার শিকার হলে কী করতে হবে?

ভাল করে যাচাই না করে অচেনা ব্যক্তিকে কোনও রকম টাকা না-দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। বিপদে পড়লে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে সাইবার অপরাধ হেল্পলাইন ১৯৩০-তে। এ ছাড়া, সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটেও (cybercrime.gov.in) অভিযোগ জানানো যাবে। যে কোনও প্রতারণার ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট, লিঙ্ক, ফোন নম্বর এবং লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করা জরুরি। প্রতারকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement