জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগেও হাসপাতালে তিনিই ছিলেন শেষ কথা। এখন সেই তৃণমূল কাউন্সিলর অমর রায়ের বিরুদ্ধেই মিছিল বার হচ্ছে। আর মিছিলের আয়োজক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপির মেডিক্যাল কলেজের ইউনিট সভাপতি সৌম্যব্রত রায় বলেন, ‘‘কোনও চাপের কাছে নথি স্বীকার করা হবে না।’’
অভিযোগ, দিনকয়েক আগে কল্যাণী পুরসভার কাউন্সিলর অমরের লোকজন জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা চালায়। সোমবার সেই ডাক্তারেরা প্রতিবাদে পথে নামলেন। মিছিল করে তাঁরা সাফ জানিয়ে জানিয়ে দিলেন, নিয়ম মেনে জেনেরিক নামেই ওযুধ লেখা হবে। কোনও হুমকির মুখেই তাঁরা মাথা নত করবেন না। জুনিয়র ডাক্তারদের এই মিছিলে পা মেলান সিনিয়র ডাক্তারেরাও। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া এবং ইন্টার্নরাও এ দিনের মিছিলে অংশ নেন। কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে আইটিআই মোড় ও থানার মোড় ঘুরে মিছিল শেষ হয় কলেজের মূল ফটকের সামনে।
অভিযোগ, অমরবাবু হাসপাতালের আয়া চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁর ছেলে গৌতমের হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান রয়েছে। চিকিৎসকেরা জেনেরিক নামে ওষুধ লেখায় ইদানীং সেই ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তাতেই ক্ষিপ্ত গৌতম ও তার দলবল কয়েক দিন আগে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর নড়ে বসে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ
সমিতির প্রধান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অমরবাবুকে ধমকান। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও অমরবাবুকে বকাঝকা করেন। তার পরই এ দিন মিছিল করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অমরবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।