হামলায় ধৃত পাঁচ, সকলেই তৃণমূলের

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতেই ব্রহ্মনগর গ্রাম থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা সকলেই ব্রহ্মনগর গ্রামের বাসিন্দা, এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। বুধবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হলে তাদের তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাপড়া শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫১
Share:

বোমাবাজি করে খুনের মামলায় ধৃত। নিজস্ব চিত্র

ব্রহ্মনগরে বোমাবাজি করে খুনের মামলায় তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সফিউদ্দিন শেখের উপরে হামলার অভিযোগেও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতেই ব্রহ্মনগর গ্রাম থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা সকলেই ব্রহ্মনগর গ্রামের বাসিন্দা, এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। বুধবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হলে তাদের তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জেলার পুলিশ কর্তাদের দাবি।

দীর্ঘ দিন ধরেই চাপড়ার হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতবেড়িয়া ও ব্রহ্মনগর এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। এক দিকে পঞ্চয়েতের উপপ্রধান আলেয়া বিবির স্বামী আশরফ ঘরামির লোকজন, অন্য দিকে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজীব শেখের হাত ধরে বিজেপি থেকে ঘরে ফেরা লোকেরা।

Advertisement

সোমবার সকালে বেতবেড়িয়া থেকে মোটরবাইকে চেপে বেশ কয়েক জন বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা লোকজন ব্রহ্মনগরে আসেন। তাঁরা আশরফের অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্য সফিউদ্দিনের বিরোধী পক্ষ বলে পরিচিত। রাজীব শেখের আত্মীয় মহসিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তাঁরা।

বেতবেড়িয়ার ওই লোকেরা ফেরার সময়ে সফিউদ্দিনের বাড়ির সামনে শুরু হয় বোমাবাজি। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় বেতবেড়িয়া থেকে আসা রফিক শেখের। গুরুতর আহত হন ওই গ্রামেরই সামিম শেখ। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। উভয় পক্ষই ন’জন করে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

পুলিশ জানিয়েছে, রফিককে‌ খুনের অভিযোগে সাহেব শেখ, নিজাম শেখ ও আয়ুব শেখ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার সফিউদ্দিনকে খুনের চেষ্টার মামলায় কুতুবউদ্দিন শেখ ও আয়তুল শেখ দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামেই উত্তেজনা রয়েছে। সে কারণে দুই জায়গাতেই পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

বোমাবাজিতে খুনের পরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের নদিয়া জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বিজেপি এই গোলমালের পিছনে রয়েছে। তা হলে ধৃতেরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত কেন? রাজীব বলেন, ‘‘আমি এখন কালিয়াগঞ্জে উপ-নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের পরিচয় ঠিক মতো না জেনে কিছু বলতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন