শেষতক হাসপাতালের রোগ নির্ণয় করলেন জনপ্রতিনিধিরা।
জনপ্রতিনিধিদের কাউকে কাউকে বলতেও শোনা গেল— ‘‘ডাক্তার কোথায়, ওঁরা এক-একজন ডাকাত!”
দিন কয়েকের মধ্যে জেলা সফরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লক্ষ্য যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, তা টের পেয়েই সতর্ক হয়েছেন কর্তারা। সরকারি হাসপাতালের রোগ সারাতে তাই এই তড়িঘড়ি বৈঠক। নদিয়ার বিধায়ক, মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে বসেছিলেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। ছিলেন বিভিন্ন হাসপাতালের সুপার ও বিএমওএইচ-রাও।
সরকারি হাসপাতালের হাল নিয়ে বলতে গিয়ে এ দিন তোপ দাগলেন, শাসক দলের বিধায়কেরাও। পাল্টা চিকিৎসকেরাও তুলে ধরলেন পরিকাঠামো গত সমস্যা। একে একে জেলার প্রতিটি হাসপাতাল ধরে ধরে আলোচনা হয়। সেখানেই ধরা পড়ল হাসপাতালের ‘রেফার’ রোগ।
উঠে এল, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের সপ্তাহে দু-তিন দিনের বেশি ডিউটি না করার ‘রোগের’ কথাও। সেখানে শুধু অহেতুক রেফার-ই নয়, রাতে রাউন্ড না দেওয়ার অভিযোগও করলেন মন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদার।
বিধায়কদের অনেকের অভিযোগ, ওষুধের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে অনেকে। অনেকে সময় দেন নিজের নার্সিংহোমে। তবে পাল্টা অভিযোগও উঠেছে। জেলা হাসপাতালের সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার যেমন জানান, প্রসূতি বিভাগে রক্ষী কম। যে কোনও মুহুর্তে শিশু চুরির ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি তিনি শাসক দলেরই দুই গোষ্ঠীর জাঁতাকলে পড়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেন বলে জানান শাসক দলের এক বিধায়ক।