— প্রতীকী চিত্র।
জনজাতি মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। নির্যাতিতা পরিচারিকার কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তিন দিন ঘরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট দু’জনকে।
সূত্রের খবর, একটি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তিন দিন একটি ঘরে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। কোনও ক্রমে বুধবার সেখান থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান ওই নির্যাতিতা। এর পরে বহরমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতেই কাজ করেন। কাজ সেরে তিনি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সে সময়েই অভিযুক্তেরা তাঁকে উত্ত্যক্ত করেন। তিনি প্রতিবাদ করেন। তার পরে তাঁর মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার অভিযোগ, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন দিন ধরে আটকে রাখা হয়। সেখানেই চলে তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার। দফায় দফায় চলে গণধর্ষণ। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার অভিযুক্তেরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সুযোগে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির একটা ভাঙা জানালা দিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে যান মহিলা। বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের গোটা বিষয়টি খুলে বলেন। প্রতিবেশীদের সাহায্যেই তিনি বহরমপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিত মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত ছিল কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ডিএসপি সুশান্ত রাজবংশী বলেন, ‘‘ অভিযোগ এসেছে, তদন্ত হচ্ছে। এখনই কিচ্ছু বলা যাবে না।’’