বড়ঞায় বোমা ফেটে জখম তৃণমূলকর্মী

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমায় জখম হলেন এক তৃণমূলকর্মী। শুক্রবার দুপুরে বড়ঞার সাটিতারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তামাল শেখ নামে জখম ওই তৃণমূলকর্মীকে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাংকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ওই গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ডাকবাংলা বাজারে তামাল শেখ ও মনসুর শেখের মধ্যে বচসা বাঁধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৫ ০০:১১
Share:

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমায় জখম হলেন এক তৃণমূলকর্মী। শুক্রবার দুপুরে বড়ঞার সাটিতারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তামাল শেখ নামে জখম ওই তৃণমূলকর্মীকে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাংকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ওই গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ডাকবাংলা বাজারে তামাল শেখ ও মনসুর শেখের মধ্যে বচসা বাঁধে। তাঁরা ওই এলাকায় তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত। ওই বচসা এমন পর্যায়ে পোঁছয় যে ওই বাজার এলাকায় থাকা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা ওই দুই তৃণমূলকর্মীকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মনসুর শেখও ওই সাটিতারা গ্রামের বাসিন্দা। দু’জনেই সাটিতারার বাড়ির দিকে চলে যায়। গ্রামে গিয়ে তাঁদের মধ্যে ফের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় জখম তামাল শেখ থলেতে বোমা নিয়ে মনসুরকে বোমা মারতে যাচ্ছিল। রাস্তাতেই ওই থলেতে থাকা বোমা ফেটে গিয়ে তামাল জখম হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জখম তামালকে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তামাল ও মনসুর উভয়েই তৃণমূলেরকর্মী। ওরা উভয়েয় তৃণমূলের কর্মী হলেও ওই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালাল উদ্দিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করতে চাননি। তিনি বলেন, “মনসুর কোনও দিনই তৃণমূলে ছিল না। ও কংগ্রেসআশ্রিত দুষ্কৃতী।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিধানসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস পরিকল্পিত ভাবে আমাদের কর্মীদের খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তারই ফল। বড়ঞাতে দলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।”

Advertisement

ওই ব্লকে বা জেলা জুড়ে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে তৃণমূলের নেতৃত্বরা দাবি করলেও ওই ব্লকে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সেটাই তার বড় প্রমাণ বলে দাবি বিরোধীদের। বন্য পরিস্থিতি চলার সময় ওই ব্লকে সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বন্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন। সেখানে জেলা সভাপতির সামনেই চেয়ার দখল করাকে কেন্দ্র করে দলের দু’গোষ্ঠীর মধ্যে ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়। পরে ব্লক সভাপতি জালাল উদ্দিনের গাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছিল দলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন। কংগ্রেসিদের অভিযোগ বারবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জালাল উদ্দিন নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। কংগ্রেসের ওই ব্লকের পর্যবেক্ষক তথা আইনজীবী বিকাশ দে বলেন, “অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেস বোমাবাজি, খুনের রাজনীতি করে না। তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারপিঠ করে কংগ্রেসকে দোষী করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন