তৃণমূলের কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর গোর্কণ-কান্দির সড়কের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পম্পারানি সাহা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এ দিন তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডায়ালেসিস করে একটি ছোটগাড়িতে চেপে কান্দি ফিরছিলেন। অভিযোগ, গোর্কণ তিনমাথার মোড় থেকে একটি ট্রাক ওই কাউন্সিলরের গাড়ির পিছু নেয়। অভিযোগ, সেখান থেকে কান্দি পর্যন্ত বার তিনেক ট্রাকটি কাউন্সিলরের গাড়িতে ধাক্কা মারে। সব শেষে কান্দিতে আসার জন্য ওই ছোট গাড়িটি যখন চরকপুকুরের পাশের রাস্তায় আসার চেষ্টা করে সেই সময় ওই ট্রাকটি ফের কাউন্সিলরের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। পম্পার স্বামী কান্দি শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি গৌরাঙ্গগোপাল সাহা এ ব্যাপারে কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গৌরাঙ্গর দাবি, রণগ্রামের সেতুর উপর ধাক্কা মারে। পুরন্দরপুর মোড়ে ফের ধাক্কা মারে। সব শেষে কান্দির চরকপুকুরের ধারে ধাক্কা মারে। প্রতিবারই গাড়িটিকে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। গৌরাঙ্গবাবু বলেন, “গাড়িতে দক্ষ চালক থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।”
যদিও ওই ট্রাকের চালক ইসলামপুরের গোপীনাথপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম শেখ বলেন, “প্রথম থেকেই ট্রাকের বামদিক দিয়ে ছোটগাড়ি ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। আমি খুব গরির ঘরের ছেলে। আমি কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই।” যদিও গৌরাঙ্গের দাবি, “কান্দি পুরসভাতে এখন অচলাবস্থা চলছে। পুরসভার আঠারো জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৯ জন তৃণমূলের ও বাকি নয় জন কংগ্রেসের। কংগ্রেস বোর্ড দখল করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ওই কাজ করিয়েছে।” যদিও কান্দি মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম রায় বলেন, “প্রকৃত তথ্য যাতে সামনে আসে পুলিশের কাছে আমরা ওই দাবিই জানিয়েছি।” অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার বলেন, “এধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি কংগ্রেস করে না। পম্পা সাহা দীর্ঘদিন অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা চলাকালীন আমি নিজে তাঁকে বহুবার দেখতে গিয়েছি। সেখানে গৌরাঙ্গবাবুর এমন নোংরা ভাবনা এল কী করে বুঝতে পারছি না।”
ট্রাকটি ইসলামপুর থেকে ময়ূরাক্ষী নদীতে বালি আনতে যাচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ ওই ট্রাকটিকে আটক করেছে। ট্রাকের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।