মদের আসরে আপত্তি

প্রতিবাদীর গায়ে আগুন দুই মদ্যপের

ওই দিন সন্ধে সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে শান্তনু দাস নামে ওই যুবক দেখেন বাড়ির সামনে বসে মদ খাচ্ছে পাড়ারই দু’জন, সম্পর্কে তারা কাকা-ভাইপো, বিমল ও সৌমেন দেবনাথ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ির কাছেই মোটর গ্যারাজে হাড়ভাঙা খাটুনির পরে সন্ধেয় বাড়ি ফিরে যুবক দেখেন, বাড়ির সামনে মদের আসর বসিয়েছে পাড়ার দুই যুবক। বিবাদটা শুরু হয়েছিল তা নিয়ে। আপত্তি করায় তখনকার মতো সরে খানিক পরেই কেরোসিনের বোতল নিয়ে এসে ওই যুবকের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়েই সরে পড়ে অভিযুক্তেরা। পাশের পুকুরে ঝাঁপিয়ে প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে কল্যাণী হাসপাতালে। তবে বুধবার রাতের ওই ঘটনায় ধরা পড়েনি অভিযুক্তদের কেউই।

Advertisement

পুলিশ জানাচ্ছে, ওই দিন সন্ধে সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে শান্তনু দাস নামে ওই যুবক দেখেন বাড়ির সামনে বসে মদ খাচ্ছে পাড়ারই দু’জন, সম্পর্কে তারা কাকা-ভাইপো, বিমল ও সৌমেন দেবনাথ। আপত্তি জানায়, শান্তনু। কথা কাটাকাটি শুরু হতেই, ‘দাঁড়া দেখাচ্ছি’ বলে চলে যায় দু’জনেই। তবে, ফিরে আসে খানিক পরেই। সে সময়ে বাড়িতে একাই ছিল শান্তনু। বাইরে থেকে গালমন্দ করে তাকে ডাকতে থাকে সৌমেন, ‘বেরিয়ে আয় হিম্মত থাকে তো!’ বেরোতেই তার গায়ে কেরোসিনের বোতল উপুড় করে দেয় বিমল, আর সৌমেন একটা দেশলাই ধরিয়ে ছুড়ে দেয় তার দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জ্বলতে থাকে ওই যুবক।

শান্তনু জানিয়েছেন, ‘‘হকচকিয়ে গেলেও পরে খেয়াল হল, বাঁচতে হবে। বাড়ির পাশেই ডোবা, লাফ দিলাম সেখানে।’’ পরে, পড়শিরা তাকে নিয়ে যায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ওই ঘটনায় দু’জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

চাকদহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ওই যুবকের। বাবা জীবন দাসও মোটর মেকানিক। মা পরিচারিকার কাজ করেন। জীবনবাবু বলেন, “কাজ থেকে ফিরে দেখি এই কান্ড। পাড়ায় সকলেই ওই দু’জনের উপরে বিরক্ত। ওদের অত্যাতারে পাড়ায় থাকাই দায় হয়ে উঠেছে।’’ পাড়ার বাসিন্দারাও জানাচ্ছেন, ওই দু’জনের কাছে বহিরাগত যুবকদেরও আনাগোনা আছে। ওদের কার্যকলাপ নিয়ে আপত্তি থাকলেও প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন