সন্ধান: চলছে খোঁজ।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করাই নেশা ওদের। কল্যাণী বি ব্লকের ছ’জনের দলটির সকলেই পড়ুয়া। তেমনই একটি শ্যুটিং করতে গিয়ে রবিবার গঙ্গায় তলিয়ে গেল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। চাকদহের চরসরাটির ঘটনা। রাত পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ মেলেনি।
জলে তলিয়ে যাচ্ছিল তাদের আরও দুই বন্ধু। স্থানীয়রা কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করে। দলের বাকি দুই কলেজ পড়ুয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে চাকদহ থানার পুলিশ।
নিখোঁজ দুই ছাত্রের নাম অন্তর পাল (১৬) এবং প্রীতিময় মণ্ডল (১৬)। উদ্ধার করা হয়েছে প্রখর বিশ্বাস এবং শঙ্খশুভ্র দাসকে। চারজনই এবার মাধ্যমিক দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে ছিল কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রনীল সরকার, এবং চাকদহ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র দ্বীপাংশু আইচ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছ’জন। চাকদহের চরসরাটিতে গঙ্গার ধারে শ্যুটিং চলে দুপুর পর্যন্ত। তাদের এই তথ্যচিত্রের নাম ছিল ‘অবাক জলপান’। যদিও তার জন্য জলে নামার প্রয়োজন হয়নি তাদের।
ইন্দ্রনীল এবং দ্বীপাংশু পুলিশকে জানিয়েছে, শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অন্তর, প্রীতিময়, প্রখর এবং শঙ্খশুভ্র স্নান করার জন্য ভাগীরথীতে নামে। তাঁরা বারণ করলেও তা শোনেনি ওরা। চারজনের কেউই সাঁতার জানত না। কিছুটা গভীর জলে যেতেই জলের তোড়ে ভেসে যায় তারা। চিৎকার শুরু করেন ইন্দ্রনীল এবং দ্বীপাংশু।
ঘাটে স্নান করছিলেন বেশ কয়েকজন। চিৎকার শুনে তাঁরাই উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। প্রখর এবং শঙ্খশুভ্রকে কোনওরকমে টেনে তুললেও অন্তর এবং প্রীতিময়কে তাঁরা উদ্ধার করতে পারেনি। তলিয়ে যায় তারা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনর পর অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের ডুবুরি নামানো হয়। বিকেল পর্যন্ত দু’জনের কারওর সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে আরও ডুবুরি এলেও প্রবল ঝড়ের জন্য তারা নদীতে নামতে পারেনি। সোমবার সকালে ফের সন্ধান শুরু হবে।
অন্তরের বাবা সুকুমার পাল এবং প্রীতিময় মণ্ডল জানান, শ্যুটিং করবে বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তারা। কিন্তু গঙ্গার ধারে আসবে, তা জানায়নি।