বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল মৃতার স্বামী এবং শাশুড়ি। নবদ্বীপের যোগনাথতলার ঘটনা। গত ১৪ জুন, রবিবার গভীর রাতে কাকলি পাল (৩৫) নামে এক বধূ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রতাপনগরে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থা অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে আটদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর ২২ জুন, সোমবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তিনদিন পর ২৬ জুন, শুক্রবার কাকলিদেবীর মা আরতিরানী দে নবদ্বীপ থানায় জামাই দিলীপ পাল এবং মেয়ের শাশুড়ি পূর্ণিমা পালের বিরুদ্ধে পণের জন্য মেয়েকে নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার রাতেই দিলীপকে এবং শনিবার পূর্ণিমাদেবীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩০৪বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শনিবার নবদ্বীপ আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, বুধবার মালঞ্চপাড়ার বধূ পুনম হালদারকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একই ধারায় মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ।