ডিজে বক্স ব্যবহারের বিরুদ্ধে ফের আন্দোলনে নামলেন শান্তিপুরের পরিবেশপ্রেমীরা। দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ডিজে বক্সের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বিসর্জনে তা ফের মাত্রা ছাড়ায় বলে তাঁদের অভিযোগ।
আসন্ন কালীপুজো, রাস, জগদ্ধাত্রী পুজোয় ডিজে বক্সের দাপট বাড়বে বলে পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা। তাই তা নিয়ন্ত্রণের দাবি নিয়ে শুক্রবার শান্তিপুরে অবস্থানে বসে অন্তত পঞ্চাশটি পরিবেশ রক্ষা এবং সামাজিক সংগঠন। শান্তিপুর এবং রানাঘাট মহকুমার বেশ কিছু এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজে বক্সের ব্যবহার বন্ধের দাবি নিয়ে আগে থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন নানা পরিবেশপ্রেমী সংস্থা। অভিযোগ, বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ও পিকনিক তো বটেই, বিয়ে-অন্নপ্রাশনের মতো সামাজিক উৎসবেও ওই বক্স ব্যবহার করা হচ্ছে। যা থেকে শব্দদূষণ হচ্ছে। বিকট আওয়াজে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এর আগে এই দাবি নিয়ে শান্তিপুর থেকে রানাঘাট, প্রায় ১৬ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন তাঁরা। এ বছর দুর্গাপুজোর আগেও প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছিলেন তাঁরা। দুর্গাপুজোর মধ্যে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বিসর্জনের শোভাযাত্রার সময় কিন্তু বক্সের কানফাটানো আওয়াজ শোনা গিয়েছে।
এই শব্দদূষণে লাগাম টানার দাবি নিয়ে শুক্রবার শান্তিপুর ডাকঘর মোড়ে অবস্থান করেন পরিবেশপ্রেমীরা। শান্তিপুর পরিবেশ ভাবনা মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এই অবস্থানে যোগ দেয় গোটা পঞ্চাশেক পরিবেশ রক্ষা সংগঠন। রানাঘাট মহকুমার বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতার অনেক সংগঠনও ছিল। ছিলেন এলাকার শিক্ষক, চিকিৎসক, লেখকেরা।
সকাল ১০ টা থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থান চলে। ব্যারাকপুর পরিবেশবান্ধব মঞ্চের সদস্য তাপস বিশ্বাস বলেন, “এই শব্দ দৈত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। প্রশাসনের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। এক জনের আনন্দ কেন অন্যের কষ্টের কারণ হবে?’’ রানাঘাটের নেচার ফার্স্টের সম্পাদিকা মুনমুন কীর্তনীয়া জানান, এ ভাবে আওয়াজের কারণে শব্দদূষণ তো হয়ই, মানুষ অসুস্থও হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। পুজো উদ্যোক্তা, মাইক ব্যবসায়ী— সবাইকে সতর্ক করে প্রশাসনকে এটা বন্ধ করতে হবে বলে তাঁর দাবি। আবার শান্তিপুরের বাসিন্দা অনিন্দ্য মোদক বলেন, “যে ভাবে এই বক্সের ব্যবহার বাড়ছে তা চিন্তার। বিশেষত বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষেরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন।’’