Kalyani

স্টল ছেড়ে গুদাম থেকে বাজি বিক্রি  

রাস্তা দিয়ে অচেনা লোক গেলেই ডাকছেন— “দাদা, বাজি লাগবে নাকি? আলোর বাজির অনেক ভ্যারাইটি রয়েছে।” শব্দবাজি মিলবে কি? দোকানদার গলা নামিয়ে জানান, সে সব বাড়ির গুদামে রয়েছে।

Advertisement

মনিরুল শেখ

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০০:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

যা ছিল চোখের সামনে, তা শুধু সরে গেল আড়ালে।

Advertisement

কয়েক দিন ধরে বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে স্টল চালাচ্ছিলেন কল্যাণী থানার শহিদপল্লির বাজি কারবারিরা। শনিবার সেই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই বাজি বিক্রির কায়দায় বদল চলে এল! বিক্রি অবশ্য বন্ধ হয়নি। শনিবার বিকেলে শহিদপল্লিতে গিয়ে চোখে পড়ল, অস্থায়ী বাজির স্টলগুলি ফাঁকা। কোনওটার তাকে হয়তো হাতেগোনা কয়েকটা ফানুস পড়ে রয়েছে। তবে ওই সব ত্রিপল খাটানো স্টলে বাজি কারবারিরা বসে রয়েছেন। রাস্তা দিয়ে অচেনা লোক গেলেই ডাকছেন— “দাদা, বাজি লাগবে নাকি? আলোর বাজির অনেক ভ্যারাইটি রয়েছে।” শব্দবাজি মিলবে কি? দোকানদার গলা নামিয়ে জানান, সে সব বাড়ির গুদামে রয়েছে। এখানে বসে খরিদ্দার ধরা হচ্ছে। গুদামে নিয়ে গিয়ে মাল দেখানো ও বিক্রি হচ্ছে।

দোকানদারের পাশে বসা এক যুবক বললেন, “চলুন আমার সঙ্গে। আমাদের এলাকার লোকজন আজ থেকে গোডাউনেই মাল দিচ্ছে।” তাঁর সঙ্গে গুদামে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, “প্রায় তিন দশক ধরে এখানে বাজির কারবার চলছে। এ বারই প্রথম এত কড়াকড়ি। বহু মানুষের সমস্যা হচ্ছে। তবে বিক্রি থেমে নেই।” পুলিশ কিছু বলছে না? যুবকের দাবি, তাদের সঙ্গে সব রকম বন্দোবস্ত করা আছে। আর এক বাজির কারবারির দাবি, “পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে যেন প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে আমরা বাজি না বেচি। রাস্তার ধার থেকে কে কখন ছবি তুলে যাচ্ছে, কাগজে ছাপিয়ে দিচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে না।” ওই যুবকের সঙ্গে বাজি কারখানায় গিয়ে দেখা গেল, আলো ও শব্দ বাজির ছোটখাটো পাহাড়! দু’জন কর্মী ব্যস্ত হয়ে বাজি বিক্রি করছেন। যদিও কল্যাণী থানার আইসি মানস মজুমদার বলেন, “শুক্র ও শনিবার দফায় দফায় হানা দিয়ে একাধিক বাজির দোকান ভাঙা হয়েছে। কেউ গুদাম থেকে বাজি বেচলে তা-ও দেখা হবে। বাজি বিক্রি চলবে না।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন