ঝাপসা: এল বৃষ্টি ঝেঁপে। বুধবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
বৃষ্টি যত চলছে, জল তত বাড়ছে ভাগীরথীতে। ঝাড়খণ্ড উপচে আসা জল মুর্শিদাবাদের একাংশ ভাসিয়ে নামছে ভাগীরথী বেয়ে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নদিয়ার চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে মনে করছেন সেচ দফতরের কর্তারা। যদিও সবটাই নির্ভর করছে পরিস্থিতি কী ভাবে বদলাচ্ছে তার উপরে।
নদিয়া মূলত তিলপাড়া, দ্বারকা, মশানজোড় ও হিংলো ব্যারাজ থেকে ছাড়া জলেই ভাসে। যত জল ছাড়া হয়েছে এবং স্থানীয় ভাবে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে ভাগীরথীর জলস্তর ২ সেন্টিমিটার করে বাড়ছিল। বিকেল ৪টের পরে তা কমে এক সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসেবে এখনই কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভাগীরথীর জলস্তর ছিল ৮ মিটার। এই হারে বাড়লে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাগীরথীর জলস্তর বিপদসীমা ৮.৪৪ মিটার পার হয়ে যেতে পারে। তাতে নবদ্বীপ, মায়াপুর, প্রাচীন মায়াপুর, শান্তিপুর, নাকাশিপাড়া ও চাকদহ ব্লকের কিছু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে। গত বছর জলস্তর ৮.৪৩ মিটার পর্যন্ত উঠে ফের নেমে গিয়েছিল। তবে বিপদসীমা পেরোলেই যে বন্যা হবে, এমনটা নয়। সর্বোচ্চ বিপদসীমা ৯.০৫ মিটার পেরোলে তবেই পাড় উপচে এলাকায় জল ঢুকতে পারে। সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিংহ বলেন, “২০১৫ সালে ভাগীরথীর জলস্তর ৯.১০ মিটার উঠলেও কালীগঞ্জের জগৎখালি, শান্তিপুরের গোপিয়া, তারাপুর, কৃষ্ণনগর শহরের কদমতলা ও কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের বাহাদুরপুর বাঁধ উপচে জল ঢোকেনি। আর সেগুলো না উপচানো পর্যন্ত আমাদের জেলায় সামগ্রিক ভাগে বন্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।” তবে এই বাঁধ গুলোর উপরে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ভরসার কথা, জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক। ফি বছর এই সময় পর্যন্ত জেলায় যত বৃষ্টি হওয়া উচিত, এখন তার আশপাশেই আছে। তার ফলে এলাকায় জমা জল সাময়িক বিভ্রান্তি ঘটালেও বিপদের সম্ভাবনা আপাতত কিছু নেই।