এ বার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার আওতায় আসছেন তাঁত শিল্পীরা। পেশাগত ‘সচিত্র পরিচয়পত্র’ ধারী তাঁতিদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। জেলার প্রায় ২ লক্ষ তাঁত শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। আগামী ১ অগস্ট থেকে এই অর্ন্তভুক্তিকরণের কাজ শুরু হবে। আর অগস্টের শেষ সপ্তাহে ওই শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনার কার্ড বিলি করা হবে। নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শেখর সেন জানান, এতদিন বিপিএল তালিকাভুক্ত ও একশো দিনের কাজের প্রকল্পে জবকার্ডধারীরা ওই যোজনার আওতায় আসতেন। এ বার থেকে তাঁতশিল্পীদেরও যোজনায় আনা হবে। এই যোজনার নাম লেখানোর জন্য এককালীন ৩০ টাকা দিতে হবে উপভোক্তাকে। তারপর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিমার মাসিক প্রিমিয়াম জমা দেবে। ফলে তালিকায় এ বার তাঁতশিল্পীরাও।
তাঁত শিল্প উন্নয়ন দফতরের জেলাস্তরের এক আধিকারিক জানান, ২০০৭-০৮ অর্থবর্ষে তাঁত শিল্পীদের জন্য প্রথম স্বাস্থ্যবিমা যোজনা শুরু হয়। একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে তাঁতিরা বিমার সুবিধা পেতেন। কিন্তু বছর খানেক আগে ওই সংস্থার সঙ্গে সরকারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তির আর নবীকরণও হয়নি। ফলে তাঁতশিল্পীরা বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই তাঁদের এ বার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার অধীনে আনা হল।
নতুন প্রকল্পে তাঁতীরা কী কী সুবিধা পাবেন? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আগে শ্রমিকেরা বছরে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধে পেতেন। আর পরিবারের সর্বোচ্চ চারজন সদস্য ওই বিমার আওতায় থাকতেন। এখন বাৎসরিক বিমার সর্বোচ্চ টাকা মিলবে ৩০ হাজার টাকা। আর একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য বিমা যোজনায় অর্ন্তভুক্ত হতে পারবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় শান্তিপুরে তাঁত শিল্পীদের আধিক্য রয়েছে। সেখানে প্রায় ৯০ হাজার পরিচয়পত্রধারী তাঁতশিল্পী রয়েছেন। এছাড়াও নবদ্বীপ, রানাঘাট-১, কৃষ্ণনগর-১ ও নাকাশিপাড়াতেও তাঁতশিল্পী রয়েছেন। শান্তিপুরের বাসিন্দা পেশায় তাঁতশিল্পী আব্দুল মালেক শেখ বলেন, ‘‘এই বিমার অধীনে এলে বিনে পয়সায় চিকিৎসার সুবিধা মিলবে।’’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের বাণীকুমার রায় বলেন, “এক মাসের মধ্যে সব শিল্পীকেই এই যোজনার আওতায় আনা হবে।’’