কৃষ্ণনগরের একটি সরকারি হোম থেকে হোম থেকে ফের উধাও আবাসিক এক তরুণী।
শুক্রবার সকালে, বিষয়টি জানাজানি হতে সরকার অনুমোদিত ওই হোম, ‘পঙ্কজ আচার্য মহিলা নিবাস’ কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, শনিবার রাত পর্যন্ত ওই তরুণীর খোঁজ মেলেনি।
এ ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। বছরখানেক আগে ওই হোম থেকে একই ভাবে উধাও হয়েছিল গিয়েছিল দুই আবাসিক তরুণী। পরে অবশ্য তাদের এক জনকে উদ্ধার করা গেলেও অন্য জনের খোঁজ আর মেলেনি। তবে, হোমের এক কর্মী জানান, ওই তরণী হোম থেকে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক যুবককে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।
বারবার কেন ওই হোম থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন আবাসিকেরা?
প্রশ্নটার অবশ্য কোনও জবাব মেলেনি হোম কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রশাসনের একাংশের দাবি, হোমের ‘অস্বাভাবিক’ পরিবেশই এর জন্য দায়ী। বিনোদন তো দূর অস্ত বরং অনেকটা জেলখানার মতো চেহারা হোমগুলির। ওই দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে বাঁচতেই তাদের এই পালিয়ে যাওয়া। হোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য সে কথা কিছুতেই মানতে চাননি।
হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ, প্রথম জানা যায় যে ওই তরুণীর খোঁজ নেই। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী আগে পাশের সরকারি হোমে থাকত। ২০১৫ সালের দুর্গা পুজোর সময় হোমেরই এক নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে তাকে হোমের ভিতরেই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সেই কর্মীকে গ্রেফতার করে। বিচারে তার সাজাও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়ে যাওয়ায় মাস ছয়েক আগে তাকে পাঠানো হয় এই সরকারি হোমে।
পুরনো জানালার লোহার রড বাঁকিয়ে সে পালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার পর আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে— রাজ্য সমাজ কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সুরঞ্জনা ভৌমিক বলেন, “আমরা হোমের কর্মীদের শো-কজ করেছি। তবে এটাও ভাবার বিষয় যে হোমে দু’জন মহিলা পুলিশ থাকার পরও মেয়েটি পালাল কি করে?”