বড় আশা নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি দেন কৃষ্ণগঞ্জের ঘুঘড়াগাছির বাসিন্দা অজয় মণ্ডল। স্বপ্ন দেখেছিলেন সেখানে গিয়ে দেদার উপার্জন করবেন। আর তাঁর পাঠানো টাকায় দুধেভাতে থাকবে পরিবার।
কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতে শুধু যে স্বপ্নভঙ্গ হল তা-ই নয়, বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া অজয়বাবু ফোন করে বারবার অনুরোধ করছেন সরকারের কাছে আবেদন করতে যাতে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই মতো তাঁর স্ত্রী স্বপ্না মণ্ডল জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন স্বামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার সেটা করা হবে।”
এর আগেও একবার সৌদি আরবে কাজে গিয়েছিলেন অজয়বাবু। কাজ করে এসেছেন কুয়েতেও। কিন্তু এ বার তাঁর অভিজ্ঞতা পুরোপুরি অন্য রকম। মাস তিনেক আগে দু’বছরের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। সেখনে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর গাড়ি চালানোর কাজে যোগ দেন। কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই তার উপরে শুরু হয় নানা মানসিক অত্যাচার। শুধু তা-ই নয় বেতন হিসেবে যত টাকা দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক কম টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এ দিন সৌদি আরব থেকে তিনি বলেন, ‘‘ঠিক মতো খেতেও দিচ্ছে না। প্রতিবাদ করলেই খুনের হুমকি দিচ্ছে। মহিলাঘটিত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ওরা।” তিনি বলেন, ‘‘আর বেশি দিন এখানে থাকলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।” অজয়বাবুর স্ত্রী স্বপ্না মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসন ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প রাস্তা আমাদের জানা নেই। মানুষটা প্রতি দিন ফোন করে কাঁদছেন দেশে ফেরার জন্য।”