ফের ভোট করিমপুরে, বিজেপির শিকে ছিঁড়বে কি?

লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। যদিও করিমপুর কেন্দ্রে তা হয়নি।

Advertisement

কল্লোল প্রামাণিক

করিমপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০০:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

কয়েক মাসের মধ্যেই উপনির্বাচনে ভোট দেবেন করিমপুর বিধানসভা এলাকার প্রায় দু’লক্ষ ৪০ হাজার ভোটার। কারণ, এই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র এ বার কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে জিতে সাংসদ হয়েছেন।

Advertisement

লোকসভা ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। যদিও করিমপুর কেন্দ্রে তা হয়নি। বরং বিজেপির থেকে চোদ্দ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে থেকেছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে তারা এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারবে নাকি বিজেপি ভোট বাড়াবে, প্রশ্ন সেটাই। এই লোকসভা ভোটে করিমপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পেয়েছে ভোট ৮৭৫১৩, অর্থাৎ গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোট কমেছে।

বিজেপির ভোট বেড়ে হয়েছে ৭৩১৭৩, অর্থাৎ গত বিধানসভায় ভোটের তুলনায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার ভোট বেড়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোট এ বার ৩৯৭০৬, যা তিন বছর আগের ভোটের তুলনায় প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার কম। তৃণমূলের ৪৬ শতাংশ নেমেছে ৪৩-এর নীচে। বিজেপির ১২ শতাংশ বেড়ে চলে গিয়েছে ৩৫ শতাংশের উপরে।

Advertisement

তৃণমূল বিধায়ক গত তিন বছরে নিজের এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করেননি, এমনটা নয়। কিন্তু তাতে ভোট বাড়েনি। উল্টে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বিজেপির। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে এবং বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেও করিমপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে না পারায় অনেক মানুষ রাজ্যের শাসক দলের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে করিমপুর ১ ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল ৪০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে, বিজেপি পেয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। অর্থাৎ এই ব্লকে প্রায় হাজার দশেক ভোটে এগিয়ে থেকেছে বিজেপি। কিন্তু করিমপুর ২ ব্লকের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৭ হাজারের কিছু বেশি। এটাই ফারাক গড়েেছে।

করিমপুর ২ ব্লকের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাই কার্যত তৃণমূলের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে এবং বড় কোনও গড়বড় না হলে আসন্ন উপনির্বাচনেও তা-ই হওয়ার কথা। জিততে হলে করিমপুর ১ ব্লক থেকে লিড বাড়ানো ছাড়া বিজেপির সামনে অন্য পথ নেই এবং সেটা কতটা সম্ভব তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। তবে, শেষ কথা বলবে সেই ইভিএম-ই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন