Coronavirus Lockdown

একশো দিনের কাজে প্রাধান্য পরিযায়ীদের, উদ্যোগী প্রশাসন

প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সব প্রকল্পগুলিতে আধকাঠা থেকে তিন কাঠা পর্যন্ত জমির প্রয়োজন।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০০:৫৫
Share:

বাড়ি ফেরার পরে। মহারাষ্ট্র থেকে ট্রেনে বহরমপুরে পৌঁছনোর পরে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে পড়লেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। ছবি: বিদ্যুৎ মৈত্র

ভিন্ রাজ্যে কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরে বসে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে কাজ দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী উৎপাদনশীল সম্পদ তৈরি করে দেবে একশো দিনের কাজের প্রকল্প দফতর। পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করে ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে এই কাজ দেওয়া হবে। এতে যেমন তাঁরা শ্রম দিবস পিছু পারিশ্রমিক পাবেন, তেমনই যে সম্পদ তৈরি হবে, তা ওই পরিযায়ী শ্রমিকই পাবেন। এ ভাবে কাজ হারিয়ে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে দু’দিন আগেই মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল ব্লকে ব্লকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকদের যেমন কাজ দেওয়া যাবে, তেমনই প্রকল্পে স্থায়ী যে সম্পদ তৈরি হবে তা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বছর ভর বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যে ফিরে আসা প্রত্যেক ইচ্ছুক পরিযায়ী শ্রমিককে ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পের আওতায় এনে কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁদের চিহ্নিত করে কাজ দিতে সুবিধা হবে।’’

কী কী প্রকল্প করা যেতে পারে? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্যান বাগিচা, সারগাদা, মাঠপুকুর, পুষ্টি বাগান, গবাদি পশুর খাদ্যের বাগান, কই-মাগুর চাষের গাড্ডা, ছাদের বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকাঠামো, অন্য প্রকল্পের সমন্বয়ে হাঁস-মুরগি সহ নানা রকম প্রাণি পালনের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়া, পান বরজ, মালবেরি চাষের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়া, খাঁচা তৈরি করে মাছ চাষ, গাছ লাগিয়ে পাট্টা দেওয়া, ড্রাগন ফ্রুটস, স্ট্রবেরি এবং জারবেরা ফুল চাষের পরিকাঠামো, মাশরুম চাষের পরিকাঠামো এবং চাষঘর, অন্য প্রকল্পের সমন্বয়ে রঙিন মাছের চাষ ব্যক্তি উপভোক্তা প্রকল্পে করা যেতে পারে। এ জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লকে আবেদন করলেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হবে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সব প্রকল্পগুলিতে আধকাঠা থেকে তিন কাঠা পর্যন্ত জমির প্রয়োজন। উপভোক্তাদের প্রকল্প অনুযায়ী জমি থাকলে তাতে সেই প্রকল্প গড়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি প্রকল্পে গড়ে ৮৬ দিনের কাজ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ওই সব প্রকল্পের যে সব স্থায়ী সম্পদ তৈরি হবে তা উপভোক্তার হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘উপরের প্রকল্পগুলির পরিকাঠামো একশো দিনের কাজের প্রকল্পে গড়া হবে। আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে দেওয়া হবে। ৮৬টি শ্রম দিবসের পারিশ্রমিক পাবেন উপভোক্তরা। প্রতিটি শ্রমদিবসের জন্য ২০৪টাকা বরাদ্দ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন