চোর সন্দেহে যুবক খুন হাঁসখালিতে

মোবাইল চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে খু‌নের অভিযোগে উঠল পাশের গ্রামের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা এলাকায় তৃণমল কর্মী বলে পরিচিত। এই ঘটনায় হাঁসখালি থানায় তারকনগরের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল, দিলীপ মণ্ডল ও শ্যামল সরকার-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাঁসখালি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৬ ০৭:২৮
Share:

মোবাইল চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে খু‌নের অভিযোগে উঠল পাশের গ্রামের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা এলাকায় তৃণমল কর্মী বলে পরিচিত। এই ঘটনায় হাঁসখালি থানায় তারকনগরের বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল, দিলীপ মণ্ডল ও শ্যামল সরকার-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

নিহতের নাম প্রসেনজিৎ বাগ (২১)। বাড়ি হাঁসখালির ময়ূরহাটে। অভিযোগ, ৯ জুন রাতে মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মৃতের মায়ের অভিযোগ, শ্বাসনালীর মধ্যে কেবলের তার ঢুকিয়ে, দেহ ব্লিড দিয়ে চিরে লবন মাখিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

ঘটনার দিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে হাঁসখালি থানার এক সিভিক ভলানটিয়ার এসে তাঁর মা রেখা বাগকে জানান, তাঁর ছেলে বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রেখাদেবী বলেন, ‘‘খবর পেয়েই হাসপাতালে যাই। কিন্তু সেখানে ছেলেকে খুঁজে পাইনি।’’

Advertisement

১১ জুন বৃষ্টির রাতে রেখাদেবী এক পড়শির বাড়িতে ছিলেন। পরের দিন সকালে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের দরজার তালা ভাঙা। চৌকির উপরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রসেনজিৎ। তড়িঘরি তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে যমে-মানুষে টানাটানির পর শেষমেশ ১৮ জুন ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

উত্তম মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসা‌নো হচ্ছে।’’ এলাকার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের কোন কর্মী ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন