অনুদানের দশ শতাংশ কাটল পঞ্চায়েত সমিতি

সরকারি অনুদান নিতে আসা চাষিদের কাছ থেকে পরিষেবা বাবদ দশ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাণীকুমার রায় বলেন, “পঞ্চায়েত আইনের যদি কোনওরকম পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে পঞ্চায়েত সমিতি এ ভাবে কৃষকদের অনুদানের টাকা থেকে পরিষেবা বাবদ ওই টাকা নিতে পারে না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৪১
Share:

সরকারি অনুদান নিতে আসা চাষিদের কাছ থেকে পরিষেবা বাবদ দশ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাণীকুমার রায় বলেন, “পঞ্চায়েত আইনের যদি কোনওরকম পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে পঞ্চায়েত সমিতি এ ভাবে কৃষকদের অনুদানের টাকা থেকে পরিষেবা বাবদ ওই টাকা নিতে পারে না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।” মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে উদ্যানপালন দফতরের অনুদানের টাকা ৪২৯ জন কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে কৃষকদের মধ্যে অনুদানের টাকা বিলি করা হয়। তাঁরই উপস্থিতিতে টাকা নিতে আসা কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ টাকার কুপন দিয়ে টাকা কেটে নেওয়া হয়। অবশিষ্ট টাকা হাতে পাওয়ার পরে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কৃষকরা।

Advertisement

৫৯ শতক জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করে অনুদান হিসাবে তিন হাজার টাকা পেয়েছেন এক কৃষক। সেই টাকা থেকে তিনশো টাকা কেটে নিয়ে বাকি টাকা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই চাষি বলছেন, “ কী কারণে টাকাটা কেটে নেওয়া হল সেটা জিজ্ঞাসা করার সাহসই পেলাম না।” ওই চাষি একা নন, অনুদানের টাকা নিতে আসা সিংহভাগ চাষিই জানেন না এই টাকাটা কেন কেটে নেওয়া হল।

পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ উপানন্দ বিশ্বাসের সাফাই, “আমরা কিন্তু কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছি না। সকলে স্বেচ্ছায় টাকা দিচ্ছেন।” যদিও এ ভাবে টাকা কেটে নেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু দেখছেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবুনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমরা পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতিতে সমবেত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই টাকা আমরা গরিব মানুষের সেবার কাজেই ব্যবহার করব।” বিডিও অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতি এটা করতে পারে কি না সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন