এক দিনও ছুটি না নিয়ে ৪৩ বছর চাকরি!

কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা যা পারেননি, তাই-ই করে দেখালেন বহরমপুর জজকোর্টের এনডিপিএস এজলাসের পেশকার, অর্থাৎ প্রধান করণিক অনিল রায়। আদালত মানেই নানা ছুতোয় কর্মবিরতি। সেই প্রবণতা রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। ওই দৃষ্টান্তের অনেক আগেই আদালতের এক কাজ পাগল কর্মী নীরবে কাজ করে যাওয়ার অনোন্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৫ ২০:২৭
Share:

অনিল রায়।—নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা যা পারেননি, তাই-ই করে দেখালেন বহরমপুর জজকোর্টের এনডিপিএস এজলাসের পেশকার, অর্থাৎ প্রধান করণিক অনিল রায়।
আদালত মানেই নানা ছুতোয় কর্মবিরতি। সেই প্রবণতা রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। ওই দৃষ্টান্তের অনেক আগেই আদালতের এক কাজ পাগল কর্মী নীরবে কাজ করে যাওয়ার অনোন্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। তিনি অনিল রায়। ৪৩ বছরের চাকরি জীবনে এক দিনের জন্যেও ছুটি নেওয়া তো দূরের কথা, উল্টে রবিবারেও আদালতে হাজির থেকে কাজ তুলেছেন। সেই অনিলবাবু শুক্রবার চাকরি থেকে অবসর নিলেন।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, তিনি অসুস্থ হয়েও ছুটি নেননি? সহকর্মী স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘‘তিনি অসুস্থ হয়েছেন এবং আদালতে আসেননি এমন ঘটনাও কখনও ঘটেনি!’’ ছুটি উপভোগের প্রচলিত পথ ছেড়ে অনিলবাবু কেন অন্য পথে হাঁটলেন? অনিলবাবুর মন্তব্য, ‘‘জনগণের টাকা থেকে সরকার বেতন দেয়। কাজ না করে বেতন না নেওয়াটা অন্যায় হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, ‘‘আদালতে কাজের পাহাড় জমে রয়েছে। ছুটির বদলে কাজ করলে সেই চাপ কিছুটা হলেও কমবে। মানুষেরও ভাল হবে।’’ বহরমপুর জজকোর্ট ছাড়াও তিনি কাজ করেছেন কান্দি ও বহরমপুর মহকুমা আদালতে। বহরমপুর উকিলসভার সম্পাদক শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বহরমপুর ও কান্দি সর্বত্রই তিনি ছুটির দিনেও আদালতের কাজ করেছেন। বর্তমান কর্ম-সংস্কৃতির যুগে অনিলবাবু অনোন্য দৃষ্টান্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন