এসপির বিরুদ্ধে তোপ হুমায়ুনের

জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন মুশির্দাবাদের তৃণমূল নেতা হুমায়ুূন কবীর। কংগ্রেসের সঙ্গে পুলিশ সুপারের ‘গোপন আঁতাত’ রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে শক্তিপুর থানা এলাকার পাঁচটি গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে আগামী ২৯ জুন শক্তিপুর থানা ঘেরাও করবেন বলে স্থির করেছেন হুমায়ুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০০:২৪
Share:

জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন মুশির্দাবাদের তৃণমূল নেতা হুমায়ুূন কবীর। কংগ্রেসের সঙ্গে পুলিশ সুপারের ‘গোপন আঁতাত’ রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে শক্তিপুর থানা এলাকার পাঁচটি গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে আগামী ২৯ জুন শক্তিপুর থানা ঘেরাও করবেন বলে স্থির করেছেন হুমায়ুন।

Advertisement

হুমায়ুন কবীর বলেন, “জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কথা মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের আইজি সঞ্জয় সিংহকে জানাব। ডিজি-র কাছেও লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করব।” তাঁর অভিযোগ বিষয়টি এর আগে তিনি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সুফল হয়নি। তাই থানা ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে জেলা নেতৃত্বকে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাতের প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “এসব হাস্যকর অভিযোগের কোনও উত্তর হয় না। হতাশা থেকেই সম্ভবত উনি এই ধরণের মন্তব্য করছেন।” তবে এই প্রথম নয়। ২০১৩ সালের ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর শক্তিপুরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে শাসক দলের তিন জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করার পরেও জেলা পুলিশ সুপারের ‘অপসারণ’ এবং শক্তিপুর থানার ওসি তুহিন বিশ্বাসের ‘বদলি’ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। এবারেও পুলিশ ও প্রশাসনকে চাপে রাখতেই থানা ঘেরাও কর্মসূচি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

২০১২ সালের ২০ নভেম্বর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন হুমায়ুন কবীর। তার অনেক আগেই ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে পুলিশ সুপার পদে রয়েছেন তিনি। প্রাক্তন প্রাণীসম্পদ দফতরের মন্ত্রী বলেন, “শক্তিপুর থানায় আমার বিরুদ্ধে তিনটে এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে দুটো মিথ্যা মামলা হয়েছে। একই ভাবে জেলার বহু মানুষকে ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, জাল টাকার মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এতে এই জেলায় রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”

Advertisement

তৃণমূল নেতার বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে মানুষকে সুশাসন দিতে চাইছেন, সেখানে পুলিশ অন্য পথে হাঁটছে। অন্যান্য জেলার পুলিশ সুপার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চললেও মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার তার তোয়াক্কা করেন না। শক্তিপুর থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে গত এক মাসে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটে মামলা করেছে। এই সব ঘটনাই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে সিপিএম-কংগ্রেসের পরিকল্পনা। যা কার্যকরী করছে শক্তিপুর থানার পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতি, লালগোলা, ভগবানগোলা, জলঙ্গির মতো সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় যারা বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। পুলিশ সুপার অবশ্য পাল্টা বলেন, “আইন মেনেই পুলিশ যাবতীয় কাজ করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন