কংগ্রেসের দখলে থাকা ভগবানগোলা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। প্রধানের আসন থেকে কংগ্রেসের আশরাফুন্নেশাকে অপসারিত তৃণমূলের ফরিদা আখতার বানুকে ভগবানগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত করা হয় সোমবার।
ওই পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ২০। পঞ্চায়েত ভোটে ২০ জনের মধ্যে কংগ্রেসের ৮ জন, তৃণমূলের ৬ জন, সিপিএম-র ৫ জন এবং সমাজবাদী পার্টির এক জন নির্বাচিত হন। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল পৃথক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের আশরাফুন্নেশা। কিন্তু গত জুলাই মাসে কংগ্রেসের ৩ জন এবং সি পি এমের ৩ জন, অর্থাৎ মোট ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দেয়। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১২। অন্য দিকে শক্তি ক্ষয়ের ফলে কংগ্রেসের সদস্য কমে দাঁড়ায় ৩ এবং সি পি এম ২-এ পৌঁছয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অনাস্থার সাধারণসভায় কংগ্রেসের প্রধান আশরাফুন্নেশাকে অপসারিত করা হয়। সোমবার তৃণমূলের ফরিদা আখতার বানুকে ১২ জন সদস্যের সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত করা হয়। ওই পঞ্চায়েতের ৬ জন সদস্যের দল বদল নিয়ে রাজনৈতিক দল গুলির মধ্যে চাপান উতোর চলছে।
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নেতা সাগির হোসেন বলেন, “এ জেলার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মোট ৩টি। আবাসিক উচ্চমাধ্যমিক সরকারি বিদ্যালয়টিও করা হয়েছে ভগবানগোলায়। এই ব্লকে ৭টি জলপ্রকল্প করা হয়েছে। মেধাবৃত্তি ও ঋণ প্রকল্পে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত। এ জাতীয় উন্নয়ন মূলক কাজ দেখে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কংগ্রেস এবং সি পি এম ছেড়ে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাসের অভিযোগ, “টাকা ছড়িয়ে ৬ জন সদস্য কিনে নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। তাতে বাহাদুরি কিছু নেই।” সি পি এমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “যে ভাবে তৃণমূল দল বদলের খেলায় মেতেছে তা অনৈতিক এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী।”