কলেজে হামলা

একটি বেসরকারি বিএড কলেজে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। তারা কলেজের নৈশপ্রহরীকে মারধর, কলেজ ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমা ও গুলি ছোড়ে। বন্দুক দেখিয়ে কলেজ আবাসনের ছাত্র ও শিক্ষকদেরও ওই দুষ্কৃতীরা ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতে চাপড়ার তিলকপুরের ওই ঘটনার পর ফিরে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা নৈশ প্রহরীর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবিও করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৪ ০০:২৯
Share:

একটি বেসরকারি বিএড কলেজে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। তারা কলেজের নৈশপ্রহরীকে মারধর, কলেজ ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমা ও গুলি ছোড়ে। বন্দুক দেখিয়ে কলেজ আবাসনের ছাত্র ও শিক্ষকদেরও ওই দুষ্কৃতীরা ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতে চাপড়ার তিলকপুরের ওই ঘটনার পর ফিরে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা নৈশ প্রহরীর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবিও করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।” এদিন রাত প্রায় বারোটা নাগাদ কলেজের গেটের সামনে একাধিক বোমা ফাটায় দুষ্কৃতীরা। বোমার শব্দে নৈশ প্রহরী দিলীপ বিশ্বাস ছুটে এলে তাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দিলীপবাবু বলেন, “ওদের দেখে আমি ছুটে পালাতে গেলে আমাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। ভয়ে আমি দাঁড়িয়ে যাই। তারপর ওরা দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢোকে। আমাকে মারতে মারতে ওরা হুমকি দেয় যে পাঁচ লক্ষ টাকা না দিলে ওরা আরও বড় ক্ষতি করে দেবে। ওদের সকলের মুখ বাঁধা ছিল।” ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার রাতে কলেজের আবাসনে পনেরো জন পড়ুয়া ও তিন জন শিক্ষক ছিলেন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বুধবার সকালে বাড়ি চলে যান। কিন্তু কেন এভাবে ওই কলেজে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা? গত বছরেই কলেজটি চালু হয়েছে। তাহলে কি ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা ‘তোলা’ চাইছে দুষ্কৃতীরা? কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অমর বিশ্বাস বলেন, “আগে কখনও আমার কাছে কেউ টাকা চায়নি। তবে দিন কয়েক আগে আমার মোবাইলে অশ্লীল ভাষায় এসএমএস এসেছিল। ঘটনার পরে ওই মোবাইল নম্বরটি পুলিশকে জানিয়েছি।” তবে কলেজের দেওয়ালে অতিরিক্ত সকলকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে পোস্টারও মেরে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাহলে কি ভর্তি সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে? ধন্দে রয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন