খাওয়া হলেই ছুটি স্কুলে, বিক্ষোভ

স্কুলে এসে কোনও রকমে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারটুকু খাওয়ানোর অপেক্ষা। তারপরই গুটিগুটি পায়ে একে একে বেরিয়ে পড়েন শিক্ষকরা। সে দিনের মতো স্কুল ছুটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনটাই নাকি রেওয়াজ কান্দির মুনিগ্রাম আনুখা কালীতলা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। তারই প্রতিবাদে শিক্ষকদের তালা বন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩২
Share:

স্কুলে এসে কোনও রকমে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারটুকু খাওয়ানোর অপেক্ষা। তারপরই গুটিগুটি পায়ে একে একে বেরিয়ে পড়েন শিক্ষকরা। সে দিনের মতো স্কুল ছুটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনটাই নাকি রেওয়াজ কান্দির মুনিগ্রাম আনুখা কালীতলা মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে। তারই প্রতিবাদে শিক্ষকদের তালা বন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুর ১২ টা থেকে বেলা আড়ইটা পর্যন্ত স্কুলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ সকাল ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষকরা এসে পৌঁছন বেলা ১২ টা নাগাদ। তারপর চলে মিড ডে মিলের প্রস্তুতি। সে পর্ব মিটে গেলেই একে একে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন তাঁরা। যদিও অন্য সব স্কুলের মতোই বিকেল সাড়ে ৪ টে পর্যন্ত পঠনপাঠন চলার কথা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার আর্জি জানান হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অভিভাবকরা। স্থানীয় বাসিন্দা মিনারুল শেখ বলেন, “গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বহুবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছই। স্কুল সঠিক সময়ে খোলা যথাযথ পঠনপাঠন যাতে হয় সেই আবেদনও জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাদের কথায় আমল দেননি। তাই আজ শিক্ষকদের ঘরে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি।” যদিও স্কুল ককর্তৃপক্ষ এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ মণ্ডল সব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়ইয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আজ সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির জন্য ফর্ম পূরণের শেষ দিন ছিল। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই সঠিক ভাবে পূরণ করা ফর্ম জমা দিতে পারেনি। তাই আজ পঠনপাঠন বন্ধ রেখে ফর্ম পূরণের কাজ চলছিল।”

তবে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও অভিযোগ করেছে বেশিরভাগ দিনই তাদের পড়াশোনা কিছুই হয় না স্কুলে। দুপুরের খাওয়া শেষ হয়ে গেলই ছুটি হয়ে যায় স্কুল। তাদের অভিযোগ এমনকী যে খাবার দেওয়া হয় মিড ডে মিলে ততা বেশিরভাগ দিনই খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না। সে বিষয়েও মাস্টারমশাইরা কোনও পদক্ষেপ করেন না।

Advertisement

কান্দির বিডিও সুরজিৎ রায় বলেন, “স্কুলটি যে সময়ের আগেই ছুটি হয়ে যায় সে অভিযোগ এর আগেও পেয়েছি। কিন্তু সেটা ঠিক কী কারণে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন