বহরমপুরে টিএমসিপিতে যোগ সরফরাজের। —নিজস্ব চিত্র।
অনুগামীদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিলেন ছাত্র পরিষদের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সরফরাজ শেখ রুবেল। তিনি কংগ্রেসের ‘হাত’ প্রতীকে নির্বাচিত বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও বটে। তৃণমূল ছাত্রপরিষদে রুবেলদের যোগদান করার বিষয়ে এ দিন বহরমপুর শহরের টেক্সটাইল মোড়ে একটি প্রকাশ্য সভা করা হয়। এ দিনের সভামঞ্চ থেকে রুবেল বলেন, “কিছুক্ষণ আগেও আমি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ছিলাম। কিন্তু এখন থেকে আমি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা এ জেলার সব ক’টি কলেজের ছাত্র সংসদও আমার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে ঢুকে গেল। কিছুক্ষণ পর অবশ্য কংগ্রেসের জেলা কার্যালয় থেকে বলা হবে, দুর্নীতির কারণে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং আরও বলা হবে, আমি ছাড়া অন্য কেউ ছাত্র পরিষদ ছাড়েনি।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা শেষ হতে না হতেই জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুণ্ডুকে পাশে বসিয়ে দলের মুর্শিদাবাদের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “আর্থিক ও অন্যান্য দুর্নীতির কারণে কিছু দিন আগে রুবেলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন পদাধিকারী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি মান্নান হোসেনের ছেলে তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাক সৌমিক হোসেন অবশ্য সভামঞ্চ থেকে বলেন, “রুবেল সদলবলে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের যোগ দেওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলা ছাত্র পরিষদের পদাধিকারী খুঁজতে কংগ্রেসকে এখন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।”
রুবেলের দলবদলের ঘটনায় দৃশ্যতই খুশি মান্নান হোসেন। তিনি বলেন, “সদলবলে রুবেল তৃণমূলে চলে আসায় এ বার আর বহরমপুর শহররের কলেজগুলিতে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে না।” তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মান্নান ঘণিষ্ট তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “ইতিপূর্বে কলেজগুলিতে ছাত্র সংঘর্ষের প্রধান হোতা হিসাবে পুলিশের কাছে ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রুবেলের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই রুবেল ছাত্র পরিষদ ছেড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে চলে আসায় সংঘর্ষের সম্ভবনা কমবে।”
দলত্যাগ প্রসঙ্গে সভামঞ্চের বাইরে রুবেল বলেন, “বিপদে পড়লে কর্মীদের পাশে কংগ্রেসের কেউ দাঁড়ায় না। সেই নিরাপত্তাহীনতা তো ছিলই, ছাড়াও জেলার উন্নয়নের স্বার্থে দলবদল করেছি।” এ দিনের দলবদলের সভায় ছিলেন পরিষদীয় সচিব চাঁদ মহম্মদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা।