ভোটের দিন এগিয়ে আসতেই উত্তপ্ত হচ্ছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল। শনিবার সকালে ডোমকল থানার ডুমুরতলা গ্রামে কংগ্রেস ও তৃণমূলের গণ্ডগোলের জেরে উভয়পক্ষের চার জন জখম হন। কংগ্রেসের দাবি, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কায়ুম মণ্ডল এদিন সকাল ৯টা নাগাদ দলীয় কর্মী ফারুখ মণ্ডলকে উদ্দেশ করে গুলি চালায়। গুরুতর জখম ফারুখকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেস ছেড়ে দলে-দলে মানুষ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে ভোটের মুখে। ওই সংঘর্ষে দু’জন মহিলা-সহ দলীয় কর্মী মতিউর রহমান জখম হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। এছাড়াও তৃণমূল সমর্থকদের বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ডোমকলের এসডিপিও অরিজিৎ সিংহ বলেন, “দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ৪ জন জখম হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ওই গ্রামে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” এর আগে বুধবার জলঙ্গির চর পরাশপুর এলাকায় এক তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনার পর নাম জড়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। এদিন কংগ্রেস নেতা মান্নান হোসেন বলেন, “তৃণমূল ছোটখাটো যে কোনও ঘটনায় কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে দিয়ে গণ্ডগোল পাকাতে চাইছে। আমাদের কর্মীরা নিজেদের সংযত রাখলেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খুনের রাজনীতি করতে চাইছে। মানুষের সমর্থন হারিয়ে ওরা এখন দিশেহারা।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলি বলেন, “কংগ্রেস ছেড়ে কেউ তৃণমূলে এলেই ওরা হামলা চালাচ্ছে। জলঙ্গির পর আবারও ডুমুরতলায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত। এমনকী মহিলাদেরও ছাড় দেয়নি। এ ভাবে কংগ্রেস আমাদের আটকাতে পারবে না।”