তুঘলকের মতো ইন্দ্রনীল, বলছেন হুমায়ুন

লড়াই ছাড়ছেন না হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কোনও কমিটিতেই ঠাঁই হয়নি তাঁর। আর সেটা নিয়েই তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ জানাতে আজ, সোমবার কলকাতা যাচ্ছেন।

Advertisement

শুভাশিস সৈয়দ

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০২:২৮
Share:

লড়াই ছাড়ছেন না হুমায়ুন কবীর।

Advertisement

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কোনও কমিটিতেই ঠাঁই হয়নি তাঁর। আর সেটা নিয়েই তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ জানাতে আজ, সোমবার কলকাতা যাচ্ছেন। পাশাপাশি দলীয় অনুগামীদের নিয়ে গত দু’দিনে দু’টি বৈঠকও করেছেন তিনি। সেই বৈঠকে ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন।

হুমায়ুন নিজেই বলছেন, “গায়ক বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইন্দ্রনীল সেন মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো পদক্ষেপ করেছেন। ওঁর সিদ্ধান্ত আমি মানতে পারছি না। সেই বিষয়টিই বৈঠকে কর্মীদের বোঝাচ্ছি।”

Advertisement

গত ১১ জুলাই বহরমপুরে বৈঠকে জেলার বিভিন্ন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন দলীয় জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেন। নতুন ওই কমিটিতে জেলার দুই প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও হুমায়ুন কবীর-সহ সাগির হোসেন, মহম্মদ আলি, উৎপল পালের মতো নেতাদের ঠাঁই হয়নি। বাকিরা ‘নীরব’ থাকলেও ‘অপমান হজম’ করতে রাজি নন বলে হুমায়ুন জানিয়েছেন।

শনিবার শক্তিপুর থানার মাণিক্যহার এলাকায় নিজের বাড়িতে কামনগর, শক্তিপুর, সোমপাড়া ১, ২ ও রামনগর বাছড়া অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন হুমায়ুন। অন্য দিকে, রবিবার রামপাড়া হাইস্কুলের বৈঠকে ছিলেন রেজিনগর থানার কয়েকশো নেতা-কর্মী। হুমায়ুন বলেন, “আগামী দিন সমস্ত ব্লকের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করব।”

এতই যদি বিরোধিতা, তা হলে দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন না কেন?

হুমায়ুনের দাবি, “দল যাতে মুর্শিদাবাদে শক্তিশালী হয়, তারই চেষ্টা করছি আমি। তা ছাড়া, আমি দলের কোনও পদে নেই। তাই দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই।”

সুব্রত সাহা, সাগির হোসেন, উৎপল পাল, মহম্মদ আলিদেরও তাঁর প্রতি ‘নৈতিক সমর্থন’ আছে বলে হুমায়ুনের দাবি। হুমায়ুন প্রসঙ্গে ওই নেতারা মুখ খোলেননি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করার নেই। হুমায়ুনও চুপ থাকলেই পারত। এতে ওর ভাল হত।”

আর ইন্দ্রনীল সেনের প্রতিক্রিয়া, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জেলা পর্যবেক্ষক হিসেবে মনোনীত করেছেন। তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন কমিটি গঠিত হয়েছে। হুমায়ুন আমার বিরুদ্ধে যে সব কুৎসা করছেন, তাতে আদতে দলনেত্রীকেই অপমান করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন