পাঁচ-পাঁচটা দিন কেটে গেল। এখনও খোঁজ মিলল না ধুবুলিয়ার সোনাতলার বাসিন্দা ঝড়ু শেখের। মইদুল শেখ নামে এক জনকে অবশ্য ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর চরমহৎপুরে লিবারেশন কর্মী খুলেন ঘটনাতেও রবিউল শেখ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার দুপুরের পর থেকে পাশের গ্রাম পাত্রদহের বাসিন্দা মোজাম শেখের সঙ্গে নিখোঁজ হন ঝড়ু। ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ স্ত্রী মমতাজ বিবির সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল। বলেছিলেন, চাপড়া থেকে ফিরছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যাবেন। সেই কিছুক্ষণ, কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পার করে দিল। স্বামীর ভাল-মন্দ কোনও খবরই আর পেলেন না মমতাজ বিবি। খেদভরে তিনি বলেন, “পুলিশই কাজে পাঠাল। অথচ, খোঁজার বেলা যতটা সক্রিয় হওয়া উচিত, পুলিশ ততটা সক্রিয় নয় বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। সন্ধান তো দিতে পারছে না। তার উপরে চাপড়া থানায় খোঁজ-খবর করতে গেলে রীতিমতো অপমানিত হতে হচ্ছে।’’
যদিও এই অভিযোগ মেনে নিতে রাজি নন জেলার পুলিশ কর্তারা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার দিন সন্ধ্যায় চাপড়ার মুরগিহাটায় স্থানীয় কয়েকজন সমাজবিরোধীর সঙ্গে দু’জনকে মদের ঠেকে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই নিখোঁজ ঝড়ু ও মোজাম। সেদিন রাত থেকে চাপড়া থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, চাপড়ার স্থানীয় দুষ্কৃতীরা টোপ দিয়ে দু’জনকে মদের ঠেকে ডেকে এনে অপহরণ করে বড় কোনও সমাজবিরোধী দলের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু তার কারণ জানা যায়নি। অপহৃতরা জীবিত আছেন কি না তা নিয়েও ধন্দে আছেন পুলিশ কর্তারা।
ঘটনার পরের দিন সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে বাদলাঙ্গি এলাকার মাঠে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে হানা দিয়েও কিছু পায়নি। তবে বাদলাঙ্গি এলাকা থেকে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনা পাঁচেক লোক দিয়ে আড়ংসড়িষা ও বাদলাঙ্গির মাঝখানের বিলে খোঁড়া-খুঁড়ি করেছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। জেলা পুলিসের ডিএসপি (সদর) অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ওই দু’জনের খোঁজ মিলবে।”