বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন শর্মিষ্ঠা।—নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়ের হয়ে জঙ্গিপুরে ভোটের প্রচারে নামলেন বোন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে মঙ্গলবার রঘুনাথগঞ্জে নিজেদের নতুন বাড়ি জঙ্গিপুর ভবনে এসে উঠেছেন তিনি। বুধবার তিনি দাদার সঙ্গে সাগরদিঘিতে প্রচারে গিয়েছিলেন। বিকেলে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বেরিয়েছিলেন রঘুনাথগঞ্জ শহরে। শর্মিষ্ঠা বলেন, “দিল্লিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করেছিলাম। এবারই প্রথম জঙ্গিপুরে দাদার হয়ে প্রচার করলাম। শনিবার দিল্লি ফিরে যাব। এই ক’দিন রোজ দাদার সমর্থনে প্রচারে বেরোব।” এদিন বালিঘাটা এলাকায় গিয়ে পথসভায় সংক্ষিপ্ত ভাষণও দেন প্রণব-তনয়া।
বাড়ি বাড়ি পায়ে হেঁটে সকলের কাছেই করজোড়ে দাদাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন শর্মিষ্ঠা। সঙ্গে একজন নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও সেভাবে পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল না। শর্মিষ্ঠা বলেন, “সর্বত্রই ভাল সাড়া পেয়েছি। জঙ্গিপুর বাবার খুব প্রিয় জায়গা। দলীয় কর্মীরাও খুব পরিশ্রম করছেন।” দাদার হয়ে শর্মিষ্ঠা যেভাবে ভোটের প্রচার করলেন তাতে দলের কর্মীরা ব্যাপক খুশি। রাজনীতিতে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে এখনই আসছি না আমি। তবে পরে কী করব তা এখনও ঠিক করিনি।” স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলার বিকাশ নন্দ বলেন, ‘‘শর্মিষ্ঠাদেবীর সপ্রতিভ ব্যবহার এক দিনেই দলীয় কর্মীদের অনেক বাড়তি মনোবল জুগিয়েছে। গতবার মাত্র আড়াই হাজার ভোটে জিতেছিল কংগ্রেস। তাই লড়াইটা যে কঠিন সেটা আমরা সকলেই বুঝতে পারছি। তাই দিদি যে ক’দিন এখানে থাকবেন প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরোলে খুবই ভাল হবে।”
প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম ও তৃণমূল অবশ্য রাষ্ট্রপতি কন্যার জঙ্গিপুরে প্রচারে নামার ঘটনাকে সে ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলছেন, “লড়াইটা তো রাজনৈতিক। এতে কংগ্রেসের বাড়তি কোনও লাভ হবে না।” তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলছেন, “হেরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কংগ্রেস প্রার্থী। শর্মিষ্ঠাদেবী প্রার্থীর বোন। তাই বোন দাদার হয়ে প্রচার করবে এতে অবাক হওয়ার কী আছে? আমরা এই বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না।”