পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবিতে সোমবার বহরমপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচি করল কংগ্রেস। বহরমপুর ব্লক কংগ্রেস ও শহর কংগ্রেসের ডাকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ি বোঝাই করে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা এ দিন দুপুরে বহরমপুর থানার সামনে জড়ো হন। তার আগে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বহরমপুর থানার ঠিক সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। ওই মঞ্চ থেকে কলেজ ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিষোদগার করেন জেলা কংগ্রেসের নেতৃবর্গ। পরে শহর কংগ্রেসের সভাপতি অতীশ সিংহের (কাল্টু) নেতৃত্বে আট জনের এক প্রতিনিধিদল বহরমপুর থানার আইসি-র সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। আইসি অরুণাভ দাস বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিরপক্ষে তদন্ত করে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।”
মাস খানেক ধরে বহরমপুর কলেজ ও কৃষ্ণনাথ কলেজে বেশ কয়েক বার ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দু’পক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, ছাত্র পরিষদ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে না। অন্য দিকে টিএমসিপি-র মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র পরিষদ ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের, এমনকী জনপ্রতিনিধিদেরও গ্রেফতার করতে কসুর করছে না বহরমপুর থানার পুলিশ।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “বহরমপুরের দুটি কলেজে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাতে মদত দিচ্ছে পুলিশ। তৃণমূলের যাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অবিলম্বে গ্রেফতার করে পুলিশের নিরপেক্ষতার প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি মান্নান হোসেনের কটাক্ষ, “আমাদের সমর্থকরা কলেজে দিনের পর দিন ছাত্র পরিষদের বহিরাগত দাদু-ঠাকুমাদের হাতে মার খাচ্ছে। ওই দাদু-ঠাকুমারা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ গ্রেফতার করছে।” কলেজগুলিতে কংগ্রেস যে গণ্ডগোল করছে, তার পিছনে পুলিশের একাংশের মদত রয়েছে বলে এ দিন পাল্টা অভিযোগ করেন মান্নানও।