গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ভরতপুরের সিজগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে বচসা, হাতাহাতির জেরে এই ঘটনা। আহত হয়েছেন কংগ্রেসের এক মহিলা সদস্য-সহ দু’জন জন এবং বিরোধী দলনেতা নিজেও। আহতদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বেলা বারোটায়। প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গেলও দেখা মেলেনি পঞ্চায়েত প্রধান-সহ প্রায় কোনও সদস্যেরই। উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রধান কংগ্রেসের আলি আসরফ, কৃষি সঞ্চালক গোল মহম্মদ, পঞ্চায়েত সদস্যা কংগ্রেসের আর্জিনা বেগম এবং বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের মানোয়ার হোসেন। মানোয়ার হোসেন উপ-প্রধানকে সভা শুরু করে দিতে বলেন। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান-সহ অন্যদের অনুপস্থিতিতে সভার কাজ শুরু করতে চাননি তিনি। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সে সময় পঞ্চায়েতের বাইরে অপেক্ষা করছিল জনা চল্লিশ তৃণমূল সমথর্ক। তারাও ভিতরে ঢুকে এসে মারধর করে কংগ্রেস সদস্যদের। উপ-প্রধান কংগ্রেসের আলি আসরফের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে। আহত হন অন্যরাও। কংগ্রেস সদস্যা আজির্না বিবির অভিযোগ, “বিরোধী দলনেতা বারবার সভা শুরু করে দেওয়ার কথা বলছিলেন, তাকে বোঝাতে গেলে তিনি আমাকে আক্রমণ করেন। চেষ্টা করেন বিবস্ত্র করে দেওয়ার। তখন বাঁচাতে এসেছিলেন উপ-প্রধান। তাই তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়।” আলি আসরাফ বলেন, “পুরো ঘটনাটাই পূর্ব পরিকল্পিত। সে কারণেই পঞ্চায়েতের বাইরে অতো লোক জড়ো হয়েছিল। তৃণমূল অনুগামীরা লাঠি, লোহার রড, অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।” ঘটনায় আহত বিরোধী দলনেতা কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বাঁ চোখের উপরে আঘাত লেগেছে। তিনি বলেন, “এতে আমাদের কোনও দোষ ছিল না। আমি কথা বলতে গেলে উপ-প্রধান কলের হাতল দিয়ে মেরে আমার মাথা ফটিয়ে দিয়েছে।” দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।